ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

সপ্তাহের শেষ দিনে লেনদেন কমে ৩শ কোটির নিচে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:৪৪

সপ্তাহের শেষ দিনে লেনদেন কমে ৩শ কোটির নিচে
ফাইল ছবি

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩ শ কোটি টাকার কম লেনদেন হয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে দুই কার্যদিবস তিনশ কোটি টাকার কম লেনদেন হলো। লেনদেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বাজারটিতে কমেছে সবকয়টি মূল্যসূচক।

ডিএসইর পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচক কমেছে। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। বাজারটিতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে কমেছে তার চারগুণের বেশি প্রতিষ্ঠানের।

অবশ্য দাম বাড়া বা কমার তুলনায় ডিএসই ও সিএইতে দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি রয়েছে। দাম অপরিবর্তিত থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) আটকে রয়েছে। ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার যেসব বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে তারা ক্রেতার অভাবে তা বিক্রি করতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরু হতেই ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। আধাঘণ্টার মধ্যে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৫টির। আর ২১৮টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকয়টি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার। আগের দিন লেনদেন হয় ৩১১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এর আগে চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ডিএসইতে ২৭১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এর মধ্যে এক সপ্তাহে দুদিন তিনশ কোটি টাকার কম লেনদেন হলো।

লেনদেন খরার বাজারে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বিচ হ্যাচারির শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুন্নু সিরামিকের ১৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমরা নেটওয়ার্ক।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- মুন্নু অ্যাগ্রো, ওরিয়ন ফার্মা, বসুন্ধরা পেপার, জেনেক্স ইনফোসিস, ইস্টার্ন হাউজিং, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫টির এবং ৫৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত