ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

কমছে সবজির সরবরাহ, বাড়ছে দাম

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৫১

কমছে সবজির সরবরাহ, বাড়ছে দাম
বাজার দর। ছবি: সংগৃহীত

শীতের শেষদিকে এসে বাজারে কমতে শুরু করেছে সবজির সরবরাহ। ফলে ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। একইসাথে বেড়েছে চিনির দামও। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি চিনির দাম বৃদ্ধির কথা থাকলেও দুইদিন আগে থেকেই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে চিনি।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেড়েছে সবধরনের মাছের দাম। ডিম কিছুটা বাড়লেও চাল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।

অন্যদিকে মুরগি দামও সামান্য বেড়েছে তবে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের দরেই। মুদি পণ্য আটায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। কেজিতে কমেছে ৪-৫ টাকা।

শনিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কলাবাগান ও মোহাম্মদপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ২৫০ টাকার চাষের কই এ সপ্তাহে ২৬০, ২০০-২১০ টাকার ছোট রুই মাছ ২২০, ৩২০-৩৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া বড় রুই মাছ ৩৪০ ও ২১০ টাকায় বিক্রি হওয়া মৃগেল মাছ ২২০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, ঘেরের পানি কমে যাওয়ায় শীতে মাছ কিছুটা কম ধরা পড়ে। এতে রাজধানীর বাজারগুলোতে চাহিদার তুলনায় মাছের আমদানি অনেকটা কমেছে এবং স্বাভাবিকভাবেই আমদানি কম হওয়ায় মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।

এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে সবজির দাম। প্রতি কেজি মুলা ৪০, ফুলকপি ৪০, টমেটো ৫০-৫৫, মরিচ ১০০-১২০, বেগুন ৪০-৬০, শালগম ৩০-৩৫, শসা ৪০-৪৫, প্রতি পিচ লাউ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বরবটি ১২০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৯০-১০০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০, ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১২০ টাকা ও গাজর ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম বাড়তি হলেও ভোক্তার স্বস্তি মিলছে আটাতে। প্যাকেটজাত সবধরনের আটাতে কেজিপ্রতি কমেছে ৪-৫ টাকা করে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আটা ৫৩-৫৪ টাকা করে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে চালের বাজারে দেখা যায়, সবধরনের চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিতে মোটা জাতের চালের মধ্যে প্রতি কেজি স্বর্ণা ৫০-৫২, আটাশ ৫৪-৫৫, পাইজাম ৫২-৫৩, নাজির ৭০-৮২, মিনিকেট ৭০-৭২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরায় এসব চালের কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা বাড়তি দামে কিনতে দেখা গিয়েছে ক্রেতাদের।

রাজধানীর বাজার ভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। পাকিস্তানি লাল ২৮০-৩০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫১০-৫৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগি ছাড়াও মাংসের মধ্যে গরু ৭০০, খাসি ১ হাজার ১০০ ও বকরির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা করে।

বাজারে সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৮৭ টাকা, লবণ ৩৮-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসলার বাজারে দাম অনেকটা গত সপ্তাহের বাজারের মতোই।

বাংলাদেশ জার্নাল/রাজু

  • সর্বশেষ
  • পঠিত