গ্রাহকদের আস্থার নাম ইভ্যালি
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২০, ১৩:১১
দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ইভ্যালি’ খুব কম সময়েই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মূলত নানামুখী অবাক করা অফারের পণ্য সঠিক সময়ে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিয়ে বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সেইসঙ্গে পণ্যের মানও শতভাগ নিশ্চিত করেছে তারা।
সব মিলিয়ে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় ও ক্যাশব্যাক অফারে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কেনার সুযোগ করে দিয়েই দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি। দ্রুত ডেলিভারিতে গ্রাহকদের মধ্যে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করে নিচ্ছে এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি ইভ্যালির অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপ ইভ্যালি অফার, হেল্প অ্যান্ড রিভিউ গ্রুপে ডেলিভারি দ্রুত করার বিষয়ে এক ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল। এরপর থেকে দ্রুত ডেলিভারি পেতে শুরু করেন গ্রাহকরা।
বিভিন্ন সময় ইভ্যালি কার্যালয়ে সরেজমিনে গিয়েও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডেলিভারি ইস্যুতে কাজ করতে দেখা যায়। ইভ্যালির এমন ডেলিভারিতে খুশি গ্রাহকরা।
সম্প্রতি একজন ক্রেতা ইভ্যালির অফিসিয়াল গ্রুপে নিজ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেন, ‘প্রথম প্রোডাক্ট ছিল লেনোভো এ-সিক্স। পেয়ে গেলাম ১১ দিনের মধ্যে। তারপর ট্রিমার সেটাও ১২ দিনের মধ্যে পেলাম। তিন নম্বরটা ছিল পাওয়ার ব্যাংক, মোটামুটি ১০ দিনের মধ্যেই পেয়েছি। পাওয়ার ব্যাংকের ক্যাশব্যাক দিয়ে ‘ওয়াইল্ড স্টোন’ পারফিউম অর্ডার করলাম তিন দিন হয়, আজ সন্ধ্যায় কল করে বলছে স্টক শেষ তাই নাইট রাইডারের জায়গায় আল্ট্রা সেনসুয়ালটা নিবো বললাম। আশা করি আগামী পরশুদিন পেয়ে যাব। ধন্যবাদ ইভ্যালি।’
আমিন উদ্দিন অর্নব নামে আরেক গ্রাহক বলেন, ‘ইভ্যালির শুরু থেকেই এখান থেকে পণ্য কিনছি। অনেক কম দামে স্বপ্নের মোটরবাইক কিনতে পেরেছি এখান থেকে। ইভ্যালিতে পণ্য সরবরাহে কিছু দেরি হতো। তবে ইদানিং তাও অনেক দ্রুত হয়েছে। আশা করি ইভ্যালি এটা ধরে রাখবে।’
এদিকে গ্রাহকদের পাশাপাশি ইভ্যালির প্রতি আস্থা ও সন্তুষ্টি বাড়ছে সেলার অর্থাৎ বিক্রেতাদেরও। নিলয় মটরসের আওতাধীন মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড হিরো’র কর্মকর্তারা জানান, ইভ্যালির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও বেড়েছে তাদের বিক্রি।
এ বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠানটির কি-অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার তানভীর আদনান অভি বলেন, ‘হিরো মোটরসাইকেল দেশে অন্যতম জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড। এর মাঝেও ইভ্যালিতে যুক্ত হওয়ার পর আমাদের বিক্রি অনেকখানি বেড়ে গেছে। বিশেষ করে অনলাইনে বা ই-কমার্সে। ইভ্যালির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত আমরা দেড় হাজারের বেশি বাইক বিক্রি করেছি। গ্রাহকদের কাছ থেকে আমরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। ইভ্যালির সাথে ব্যবসায়িক লেনদেনও খুবই সুবিধাজনক।’
এই সফলতার পেছনে গ্রাহক, সেলার এবং দেশের গণমাধ্যমের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন ইভ্যালির উদ্যোক্তা মোহাম্মদ রাসেল। সম্প্রতি এশিয়া ওয়ান ঘোষিত বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল ব্র্যান্ড পদকও পেয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘ই-কমার্সে যে একটি দামি জিনিসও কম দামে কেনা সম্ভব এই আস্থা দেশের গ্রাহক শ্রেণিকে আমরা দিতে পেরেছি। অনেকেই আমাদের বলেন যে, আমরা এত মূল্যছাড়ে কীভাবে পণ্য দেই। এর আসল শক্তি আমাদের গ্রাহক শ্রেণি। আমরা যখন একজন সেলারের সাথে দেন-দরবার করি তখন এই গ্রাহকদের কথাই বলি যে, আমাদের এখানে অনেক গ্রাহক আছে তাই তারা অর্ডার বেশি পাবে। আর এটা পেতে হলে তাদেরকে পণ্যের দাম কমিয়ে রাখতে হবে। তখন ব্র্যান্ডগুলো আমাদের জন্য উল্লেখযোগ্য হারে একটা ডিসকাউন্ট দেয়।’
তিনি বলেন, ‘শুরু থেকে আমাদের ডেলিভারি নিয়ে সমস্যা আছে তবে বাস্তবতা এটাই যে, আমাদের এখানে এত বেশি অর্ডার পড়ে যে, পণ্যগুলো নানান প্রক্রিয়ায় গ্রাহকদের হাতে যেতে কিছুটা সময় লাগে। আমরা এই বিষয়গুলো নিয়েই এখন কাজ করছি। দেশের এমন কোনো বড় কুরিয়ার সার্ভিস নাই যাদের সাথে আমরা কাজ করছি না।’
মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরের একেকজন কর্মী রাত-দিন কাজ করছে পণ্যের ডেলিভারি দ্রুত সময়ে দেওয়ার জন্য।’
‘ইভ্যালিতে অর্ডার করা পণ্য বেশিদিন পেন্ডিং ছিল, এমন প্রায় সব পণ্যই ইতিমধ্যে ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি দ্রুতই সকল পণ্যের ডেলিভারি দিতে পারব আমরা’, যোগ করেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই