ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘অনিয়ম’ ফাঁস করায় হল ছাড়ার নির্দেশ শিক্ষার্থীকে

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ০৪:৪৮  
আপডেট :
 ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ০৪:৫৭

‘অনিয়ম’ ফাঁস করায় হল ছাড়ার নির্দেশ শিক্ষার্থীকে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে ‘দুর্নীতি ও অনিয়মের’ তথ্য ফাঁস করা শিক্ষার্থী শ্রবণা শফিক দীপ্তিকে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক জিনাত হুদা।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ডুজা'র কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দীপ্তি। তিনি ডাকসু নির্বাচনে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র জোটের প্রার্থী ছিলেন।

হলে একাধিক পদে কর্মচারী নিয়োগে ছাত্রলীগ নেত্রীদের মোট ২১ লক্ষ টাকার লেনদেনের কয়েকটি অডিও ফাঁস করেছিলেন দীপ্তি। তার ওই তথ্য-উপাত্তকে মিথ্যা দাবি করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে হল প্রশাসন।

মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করায় কেন তার সিট বাতিল হবে না তা জানতে চেয়ে গত ১৫ জানুয়ারি হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা একটি নোটিশ জারি করেন। দীপ্তিকে ৭ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

ওই কারণ দর্শানোর নোটিশে আরও জানানো হয়েছে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে রোকেয়া হলে কর্মচারী নিয়োগে কোনো অনিয়ম বা আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফেসবুকে এই সংক্রান্ত যে অডিও ক্লিপ ভাইরাল করা হয়েছে, তার কোনো সত্যতা মিলে নি। যাদের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে বলে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, তাদের কাউকেই নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই অপপ্রচার চালানো হয়েছে।

তবে সংবাদ সম্মেলন করে শফিক দীপ্তি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনা প্রভোস্টের এই অভিযোগ সত্য নয় এবং সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত যুক্তিহীন ও বেআইনি।

তিনি বলেন, হল প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে- আমি মিথ্যা তথ্য দিয়েছি। অথচ ওই তথ্যের স্পষ্ট সোর্স উল্লেখ করা ছিল। তারপরেও আমার বিরুদ্ধে কেন অপবাদ দেয়া হলো।

তিনি আরও বলেন, চিঠিতে বলা হয়েছে ৩টি অডিও ক্লিপ আমি ভাইরাল করেছি যা সঠিক নয়। অথচ এটা সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।

হল প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে দীপ্তি বলেন, আপনারা উল্লেখ করেছেন- ফেসবুকে তথ্য ভাইরালকরণ বা তথ্য প্রদান হলো সাইবার ক্রাইম। তাহলে এটার বিচার করবে আদালত। এ কারণে আপনারা সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এর জন্য আদালত রয়েছে।

দীপ্তি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার্থে ‘অনিয়ম এবং দুর্নীতির’ কথা উল্লেখ করেছি এবং ফেসবুক থেকে আমার নাম দিয়ে কোন মিথ্যা তথ্য প্রদান করা হয় নাই। তাই কারণ দর্শানোর নোটিশ ও তদন্ত কমিটির রিপোর্ট যাচাই করে সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার আহ্বান জানান দীপ্তি।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত