ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

অবশেষে ১৩ ধরনের কাজ কমলো প্রাথমিক শিক্ষকদের

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:৫৬  
আপডেট :
 ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:০৪

অবশেষে ১৩ ধরনের কাজ কমলো প্রাথমিক শিক্ষকদের

পাঠদানে নিয়োজিত থাকার কথা থাকলে বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের। এরফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে শিক্ষকদের মনযোগী করা যাচ্ছে না। এসব বিবেচনায় শুধু নির্বাচন ছাড়া পাঠদানের বাইরে আর কোনো কাজে না জড়ানোর জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তার অধীনস্থ সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আরো পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডের আওতায় যারা

১৩ ধরনের কাজের মধ্যে- ভোট গ্রহণ, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও হালনাগাদ করা, শিশু জরিপ, আদমশুমারি, কৃষিশুমারি, খোলাবাজারে চাল বিক্রি তদারকি, কাঁচা-পাকা ল্যাট্রিনের শুমারি, কৃমির ট্যাবলেট, ভিটামিন-এ ক্যাপসুলসহ স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং পরিসংখ্যান বিভাগের সব কাজই করতে হয়।

আরো পড়ুন: সবাই পাচ্ছেন না প্রাথমিকে শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড

শিক্ষার ভেতরের কাজের মধ্যে উপবৃত্তি তালিকা প্রণয়ন ও প্রাপ্তিতে সহযোগিতা, বিস্কুট খাওয়ানো ও হিসাব সংরক্ষণ ইত্যাদি তো আছেই। এছাড়া মন্ত্রী-এমপিসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সংবর্ধনা, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দর্শকসারি পূরণসহ অন্যান্য অনানুষ্ঠানিক কাজেও শিক্ষকদের ব্যবহারের অভিযোগ আছে।

আরো পড়ুন: প্রধান শিক্ষকদের ১০তম গ্রেড দিতে যে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় গণশিক্ষা সচিব!

শিক্ষকরা বলছেন, এছাড়া বিদ্যালয়ের করণিক কাজও তাদের করতে হয়। কেননা, কোনো স্কুলে এই কাজ করার সহকারী বা কেরানি নেই। তাদের ওইসব কাজের মধ্যে আছে, প্রত্যেক মাসে ছাত্র হাজিরা খাতায় নাম ওঠানো, দৈনন্দিন উপস্থিতি-অনুপস্থিতি হিসাব সংরক্ষণ, হোম ভিজিট, উপকরণ তৈরি, দৈনিক পাঠ পরিকল্পনা তৈরি, বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারি তথ্য, প্রাথমিক শিক্ষক সমাপনী সার্টিফিকেট লেখা, বছরে তিনটা পরীক্ষা ছাড়াও মডেল টেস্ট, সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষার নির্ভুল তথ্য পূরণ ইত্যাদি।

আরো পড়ুন: প্রাথমিকের শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে যে বেতন পাবেন

সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে এ ব্যাপারে উল্লেখ করা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য নতুন পদ সৃজন ও নতুন শিক্ষক নিয়োগ করার সত্ত্বেও ৩৬ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক মাত্র একজন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭০ ভাগ মহিলা শিক্ষক। তাদের ৬ মাসব্যাপী মাতৃত্বকালীন ছুটি, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির কারণে পদস্থ শিক্ষকদের মধ্যে প্রকৃত শিক্ষকদের সংখ্যা প্রায়শই কম থাকে। তাছাড়া শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৯ মাস ব্যাপী সিইনএড প্রশিক্ষণের পরিবর্তে দেড় বছরব্যাপী ডিপিইএড প্রশিক্ষণ প্রদানের ফলে শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ প্রশিক্ষণ গ্রহণে ন্যস্ত থাকেন। ফলে প্রায় সকল শিক্ষকের অতিরিক্ত ক্লাস গ্রহণসহ শিখন কার্যক্রমে অতিরিক্ত সময় নিয়োজিত থাকতে হয়।

আরো পড়ুন: বেতন বাড়ল প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের

চিঠিতে আরও বলা হয়, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে এবং প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে শিক্ষকদের শিখন কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকার পরিবেশ ও সুযোগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে বিদ্যালয় বা শিখন সংশ্লিষ্ট নয় এরূপ কার্যক্রমে শিক্ষকদের বিরত রাখা প্রয়োজন। এ প্রেক্ষাপটে শুধুমাত্র নির্বাচন কার্যক্রম ছাড়া অন্যান্য কার্যক্রম থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দায়িত্ব প্রদান না করার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনাযোগ্য বলে মনে করি।

আরো পড়ুন: প্রাথমিকের শিক্ষিকাকে পেটালেন আওয়ামী লীগ নেতা!

এদিকে নাম প্রকাশ না করে সাধারণ শিক্ষকরা বলছেন, এত কাজ করতে গিয়ে স্কুলের বাইরে শিক্ষকদের সময় ব্যয় করতে হয়। এতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে, যা মানসম্মত শিক্ষার প্রধান প্রতিবন্ধক।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত