যে ৩৮ জেলার প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত (তালিকা)
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:৩৯ আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:৪৪
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ক্ষেত্রে ৩৮ জেলায় প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন)- যুগ্মসচিব খান মো. নুরুল আমিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ডাকযোগে নিয়োগপত্র পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন: শিক্ষা আইন শিগগিরই উত্থাপন করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
১৩ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্বখাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮ এর ফলাফলে ৬০% মহিলা কোটা সংরক্ষণ হয়নি মর্মে মহামান্য হাইকোর্ট নিম্মবর্ণিত জেলার পার্শ্বে উল্লিখিত রিট পিটিশন মামলা চলমান রয়েছে। উক্ত রিট পিটিশনের আদেশ মহামান্য আদালত ৬ মাসের জন্য নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করেছিন মর্মে জানা যায়। ফলে নিম্মবর্ণিত জেলাসমূহে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে যোগদানের বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নবর্ণিত জেলাসমূহের অধিদপ্তরের ১৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখের ৩৮.০১.০০০০.১৪৩.১১.০১১.১৮-১২/১৪০ নং স্মারকে জারিকৃত ১ (ঘ-চ) অনুচ্ছেদে বর্ণিত নবনিয়োগকৃত শিক্ষকদের যোগদান, ওরিয়েন্টশন ও পদায়ন নির্দেশনা অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হলো। নবনিয়োগকৃত শিক্ষকদের যোগদান, ওরিয়েন্টশন ও পদায়নের তারিখ পরবর্তিতে জানানো হবে’।
আরও পড়ুন: যে কারণে কমছে না প্রাথমিকের সময়সূচি
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) গত বছরের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা পর সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, ৫৫ হাজার ২৯৫ জন প্রার্থী পাস করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের যেসব জেলার শিক্ষকরা পদায়ন পাচ্ছেন!
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এসব প্রার্থীদের গত বছরের ৬ অক্টোবর থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। মাসব্যাপী সারাদেশের সব জেলায় মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষকদের থেকে দপ্তরীর বেতন বেশি!
মৌখিক পরীক্ষাও শেষ হলে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য ১৮ হাজার ১৪৭ জন শিক্ষক চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু নতুন শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটার বাস্তবায়ন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় ইতিমধ্যে ৩৮ জেলায় শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করেছেন আদালত।
সূত্র জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ডাকযোগে নিয়োগপত্র পাঠানো হয়েছে। কোনো প্রার্থীর নিয়োগপত্র জারি না হলে তাদের তালিকা ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের। ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন শিক্ষকদের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করতে হবে। ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে। আর ১৯ ফেব্রুয়ারি নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পদায়নের আদেশ জারি করা হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে/আরকে