ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

বেতন গ্রেড-১৩, হিসাব মিলছে না প্রাথমিক শিক্ষকদের

বেতন গ্রেড-১৩, হিসাব মিলছে না প্রাথমিক শিক্ষকদের

শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এতে তাদের দাবিকৃত ১১তম গ্রেড ছিলো তা পূরণ হয়নি।

এছাড়া প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের বিষয়টি নিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি।

আরও পড়ুন: প্রাথমিকের সকল সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেড পাবেন!​

শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের বিষয়টি কিছুটা আইনী জটিলতায় আটকে আছে। তবে এ গ্রেড দেয়ার ব্যাপারে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। সে মোতাবেক এবং দাবি অনুযায়ী, ১০ম গ্রেড না দেয়া হলে তারা মানবেন না বলে জানিয়েছেন।

সম্প্রতি গোপালগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেয়া হবে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের দুটি ধাপে বেতন বাড়ানো হয়েছে। শিগগিরই প্রধান শিক্ষকদের আরো এক ধাপ গ্রেড উন্নীত করা হবে বলে বলে তিনি জানান।

আরো পড়ুন: সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নিয়ে ফের সুখবর

গত বছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে বলা হয়। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।

শিগগিরই এসব দাবি না মানা হলে আন্দোলনে নামারও ইঙ্গিত দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের প্রধান মুখপাত্র মো. বদরুল আলম মুকুল। ‘মুজিববর্ষে’ তাদের দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি।

আরো পড়ুন: সরকারি চাকরিজীবীরা পাচ্ছেন ৭৫ লাখ টাকা!

প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের প্রধান মুখপাত্র মো. বদরুল আলম মুকুল বলেন, ‘আমরা ১০ম গ্রেড দেয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছি। আদালতের আদেশও রয়েছে। কিন্তু তা মানা হয়নি। ১০ম গ্রেড না দেয়া হলে আমাদের সামনে ফের আন্দোলনে নামার বিকল্প থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড, কোনটিই পূরণ হয়নি। শতভাগ পদোন্নতিও দেয়া হচ্ছে না। ফলে অসেন্তাষ রয়েছে। আমরা এ নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেছি। পাশাপাশি শিগগিরই ঐক্য পরিষদের নেতারা বসে করণীয় ঠিক করব।’ এ সমস্যার সমাধান না হলে আন্দোলনেই সমাধান খোঁজা হবে।

আরো পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষকদের থেকে দপ্তরীর বেতন বেশি!

অপরদিকে সহকারী শিক্ষকদের বেতন বাড়লেও এতে যে শর্তারোপ করা হয়েছে, তা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কারণ শর্ত পূরণ করতে গেলে সব শিক্ষক নতুন বেতন স্কেল পাবেন না। এতে অনেকের মধ্যে সংশয়ও তৈরি হয়েছে বলে গেছে। তাদের দাবি নতুন যে বেতন স্কেল দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে, তা সব সহকারী শিক্ষককে দিতে হবে।

দীর্ঘদিনের দাবি না মানা এবং নতুন ১৩তম গ্রেডে সুবিধা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

সহকারী শিক্ষকদের ১৩ম গ্রেডে উন্নীত করণে প্রজ্ঞাপনের শর্তানুযায়ী, সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগের বয়সসীমা ২১ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। এছাড়া কোন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রী থাকতে হবে। অবশ্য যারা এ সুবিধা পাবেন না সেজন্য তাদের নিজেরাই দায়ী বলে অনেকে মনে করছেন।

আরো পড়ুন: ভালোবাসা দিবসে অফিসেই এএসপিকে বিয়ে করলেন ডিসি

শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে থেকে যারা দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি না নিয়ে এসএসসি কিংবা এইচএসসি পাস করে যোগদান করেছেন তারা নতুন সুবিধা পাবেন না। ফলে তাদের মধ্যে এক ধরণের ক্ষোভ তৈরি হতে পারে। আর নতুন করে তাদের স্নাতক ডিগ্রী গ্রহণেরও সুযোগ নেই। এ বিষয়ে সবার সুবিধার জন্য শর্ত কিছুটা শিথিল করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত