ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

স্কুল শেষে চলবে কোচিং সেন্টার!

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:১৬

স্কুল শেষে চলবে কোচিং সেন্টার!
ফাইল ফটো

নতুন শিক্ষা আইনের খসড়ার ২৬ ধারার ১ ও ৩ উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো ধরনের নোট বই বা গাইড বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করা যাবে না। এই বিধান লঙ্ঘন করলে অনূর্ধ্ব তিন বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নোট বই, গাইড বই কেনা বা পাঠে বাধ্য করলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হবে।

আরো পড়ুন: ১৩তম গ্রেডে বৈষম্য: আসছে কঠোর কর্মসূচি​

এ ব্যাপারে একাধিক অভিভাবক বলছেন, নোট বা গাইড নামে কোনো বই বাজারে নেই। এখন আছে প্র্যাকটিস বুক সহায়ক বই। দুর্বোধ্য সৃজনশীল, শিক্ষকদের অদক্ষতাসহ নানা কারণে শিক্ষার্থীরা সহায়ক বইয়ের আশ্রয় নেয়। কারণ শিক্ষকরাও অনেক কিছু বোঝেন না। আবার ৭০ থেকে ৮০ জনের ক্লাসে শিক্ষকদের কিছু বোঝানোও সম্ভব হয় না। এমনকি যাদের পক্ষে বেশি প্রাইভেট বা কোচিং করা সম্ভব হয় না তাদের একমাত্র আশ্রয় সহায়ক বই। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথাযথ পড়ালেখা নিশ্চিত না করার আগ পর্যন্ত এই বই নিষিদ্ধ করা হলে বুমেরাং হওয়ার আশঙ্কা আছে।

আরো পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে না অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত​

খসড়া আইনের ২৬ ধারার ৪ উপধারায় বলা হয়েছে, সরকারের অনুমতিপ্রাপ্ত নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনার জন্য নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হবে। বিদেশি পাঠক্রমে পরিচালিত স্কুল, কিন্ডারগার্টেন, মাদ্রাসা পরিচালনায়ও একই শর্ত প্রযোজ্য হবে।

তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় অর্ধলাখ কিন্ডারগার্টেন আছে, যাতে কয়েক লাখ শিশু পড়ালেখা করছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেয়ে সেগুলো বেশি জনপ্রিয়। ওগুলোর কোনো নিবন্ধন নেই। তারা পাঠ্য বই পায়, নিজ স্কুলের নামে পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারে। নতুন শিক্ষা আইন পাস হলে তাদের কী হবে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই।

আরো পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে ১০ ধরনের বৈষম্য!​

খসড়ার ৩০ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। তবে অভিভাবকদের সম্মতিতে স্কুলের আগে বা পরে নীতিমালা অনুযায়ী অতিরিক্ত ক্লাস করাতে পারবেন। তবে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা নিষিদ্ধ গণ্য হবে না। কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রম চলাকালে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা যাবে না।

আরো পড়ুন: ২৪ স্কুলে তালা ঝুলিয়ে পিকনিকে প্রাথমিকের শিক্ষকরা!​

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস কমলেও নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষায় হরহামেশাই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এখনো কাউকেই বড় কোনো শাস্তি পেতে হয়নি। তাই শিক্ষা আইনে প্রশ্নপত্র ফাঁসের শাস্তি কঠোর করা উচিত।

আরো পড়ুন: প্রাথমিকসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শিক্ষা আইনের একটি খসড়া পেয়েছি। তা আরো যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করা হবে। এরপর নিয়মানুযায়ী তা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত