ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাথমিকে পদায়ন নিয়ে সুখবর পেলো ২১ জেলা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:৫১

প্রাথমিকে পদায়ন নিয়ে সুখবর পেলো ২১ জেলা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম ২১ জেলায় শেষ হয়েছে। এখন তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) থেকে তাদের পদায়ন শুরু হবে। তবে আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ৪০ জেলার নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে বলে জানা গেছে।

এগুলোর মধ্যে আদালতে মামলা দায়ের করায় দেশের ৩৮ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ে। আর ঠাকুরগাঁও এবং লক্ষ্মীপুর জেলার নিয়োগে কোটা অনুসরণ না করায় নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ কারণে মোট ৪০ জেলায় এ নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।

এদিকে দেশের ২১ জেলায় যোগদান সম্পন্ন ও পদায়ন কার্যক্রম শুরু হওয়ায় অন্য জেলায় চূড়ান্তভাবে পাশ করা প্রার্থীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। নির্ধারিত সময়ে যোগদান করতে না পারায় তারা চরম হতাশা ও দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। যোগদান করতে পারবে কি না এমন দুচিন্তায় তাদের সময় কাটছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন জেলার যোগদানের জন্য অপেক্ষমাণ প্রার্থীরা।

আরও পড়ুন: শিক্ষকদের শীর্ষ দুই পদে নিয়োগে ক্ষমতা পাচ্ছেন ডিসি-ইউএনওরা

তবে চূড়ান্ত ফলাফলে নির্বাচিত সকলে যোগদান করতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন। তিনি বলেছেন, আদালতে দায়ের হওয়া সকল মামলার স্থগিতাদেশের জন্য আমরা উচ্চ আদালতে আপিল কার্যক্রম শুরু করেছি। নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাই আমরা আশা করি দ্রুত সকল মামলার স্থগিতাদেশ আসবে। এরপরেই সকলকে যোগদান ও পদায়ন করা হবে।

আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে ১০ ধরনের বৈষম্য!

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) গত বছরের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা পর সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, ৫৫ হাজার ২৯৫ জন প্রার্থী পাস করেছেন।

আরও পড়ুন: সারা দেশে প্রাথমিকে অফিস সহকারী নিয়োগ

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এসব প্রার্থীদের গত বছরের ৬ অক্টোবর থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। মাসব্যাপী সারাদেশের সব জেলায় মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়।

মৌখিক পরীক্ষাও শেষ হলে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য ১৮ হাজার ১৪৭ জন শিক্ষক চূড়ান্ত করা হয়।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত