ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

তিতুমীর কলেজে ৫টি বাস দিচ্ছেন কাদির মোল্লা

  তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:১২

তিতুমীর কলেজে ৫টি বাস দিচ্ছেন কাদির মোল্লা

যাতায়াত সমস্যা লাঘব করতে সফল ব্যবসায়ী আবদুল কাদির মোল্লা রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ৫টি বাস উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

থার্মেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল কাদির মোল্লার একসময় পুঁজি ছিল মাত্র চার টাকা। মানুষের জমিতে ও ইটখোলায় কাজ করে তিনি পুঁজি জমিয়েছেন। জীবনের প্রথম উপার্জন চার টাকা বিনিয়োগ করেছেন তার শিক্ষায়। ১৬০ টাকা জোগাড় করতে না পারায় এসএসসিতে স্টার মার্কস পেয়েও এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারেননি। তারপর তিন বছর টেকনিক্যাল এডুকেশন কোর্স করেন। সার্টিফিকেট নিয়ে চলে যান সিঙ্গাপুরে। সেখানে পাঁচ বছর চাকরি করেন। চাকরি করে পুঁজি আহরণ শেষে দেশে ফিরে ব্যবসার প্রস্তুতি নেন। এখন তার হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা।

তিনি বলেন, জীবন যে কতো কঠিন তা খুব কাছ থেকে দেখেছি। শিক্ষা জীবনে দেখি অনেকে হতাশ হয়। জীবনের কোনো ক্ষেত্রে হতাশ হওয়া যাবে না। সমস্যা থাকবেই, সেখান থেকে সমস্যার সমাধান খুঁজে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

বুধবার তিতুমীর কলেজের শহীদ বরকত মিলনায়তনে আব্দুল কাদির মোল্লাকে কলেজের ছাত্র ও শিক্ষক কর্তৃক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে তিনি নিজের জীবনের স্মৃতিচারণ করে শিক্ষার্থীদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত জীবনে একের পর এক জীবনযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছি। একে একে পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে বিনা খাবারে বিনা চিকিৎসায় আমার বাবা মারা যায়। তারপর আমার মা-কে হারাই। এত কিছুর পরও হতাশ হইনি। তাই সমস্যার সমাধান খুঁজে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বাস্তবতা মেনে নিতে হবে।

কাদির মোল্লা বলেন, প্রতিবন্ধকতা ছাড়া কোনো কাজই নেই। শুধু ব্যবসা জীবন না, সাধারণ জীবনেও অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকে। তবে সৎ ইচ্ছা, সৎ চিন্তা ও সৎ শ্রম থাকতে হবে। আপনার চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি, দর্শন, সততা, ধৈর্য ও সাহস যদি ঠিক থাকে, তাহলে কোনো কাজকেই বাধা দিয়ে থামানো যাবে না।

সভাপতির বক্তব্যে তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আশরাফ হোসেন বলেন, আব্দুল কাদির মোল্লার ব্যক্তিগত জীবন থেকে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য ছুটতে হবে।

শিক্ষার্থীদের সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখায় কলেজের পক্ষ কাদির মোল্লাকে ধন্যবাদের পাশাপাশি তার কর্মের ভূয়সী প্রশংসাও করেন অধ্যক্ষ আশরাফ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোসা. আবেদা সুলতানা, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মালেকা আক্তার বানু, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মোড়ল প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত