ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার নিয়ে কটূক্তি করায় ইবি শিক্ষার্থী বহিষ্কার

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২০, ১১:১৯  
আপডেট :
 ০৮ এপ্রিল ২০২০, ১১:২২

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার নিয়ে কটূক্তি করায় ইবি শিক্ষার্থী বহিষ্কার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার নিয়ে কটূক্তি করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার রাতেই এক জরুরি সভা ডেকে তানজিদা সুলতানাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ওই শিক্ষার্থীর নাম তানজিদা সুলতানা ছন্দ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ছাত্রী বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকে ‘পুরাতন কাসুন্ধি ঘাটা’ বলে মন্তব্য করেন।

সোমবার রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত খুনি মাজেদকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী ও বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন তার নিজ ফেসবুকে ‘কেউ পারেনি যা, পেরেছে করোনা: করোনার ভয়ে ভারত থেকে পালিয়ে এসে ঢাকায় গ্রেপ্তার বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি মালেক #স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’ স্টাটাস দেন।

ওই পোস্টে তানজিদা সুলতানা ছন্দা ‘কমল ছন্দ’ নামে একটি আইডি থেকে মন্তব্য করেন, ‘শেখ মুজিব খুন না হলে কি এখনও পর্যন্ত বেঁচে থাকতেন? শেখ মুজিবর রহমান অনেক বয়স পরই মারা গেছেন। কিন্তু আমরা আদিখ্যেতা জাতি একজনের খুনের বিচার করতে করতে ভুলেই যাই প্রতিদিন কতশত মানুষ আমাদের আশেপাশে খুন হচ্ছে, গুম হচ্ছে। আমরা পুরাতন কাসুন্দি নিয়ে খুব বেশি ঘাটাঘাটি করতে পছন্দ করি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আকারী বলেন, সবাই যখন জাতির পিতার খুনিদের বিচার দাবি করছে সে সময় ওই ছাত্রীর এমন মন্তব্য জাতির পিতার প্রতি অসম্মান। একইসঙ্গে এ মন্তব্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ওই ছাত্রী অভিযোগ স্বীকার করেছে। প্রাথমিকভাবে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া কেন তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, এ মর্মে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সাত কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। ঘটনার কারণ যাচাইয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটি রিপোর্ট পেশ করলে আমরা চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আশাকরি সরকারও এ বিষয়ে কঠোর হবেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত