ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ছুটির মধ্যেও প্রাথমিকসহ যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার নির্দেশ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ মে ২০২০, ১৩:১৮

ছুটির মধ্যেও প্রাথমিকসহ যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার নির্দেশ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলা ও সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে ছুটির মধ্যে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে।

ইতোমধ্যে বরগুনার ৫০৯টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা-উপজেলায় পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এরই মধ্যে উপকূলবাসীকে সতর্ক করতে মাইকিংও শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে আম্পান ঝড় সামলাতে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় বেশকিছু অভিনব উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। এ বিষয়ে তার নেতৃত্বে বাগেরহাট সদর ও কচুয়া উপজেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, বাগেরহাট সদরে ৫৬টি মাধ্যমিক স্কুল ও সাইক্লোন সেন্টার এবং ১৩৩টি প্রাথমিক স্কুল কাম সাইক্লেন সেন্টার একেবারে প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে।

এছড়াও কচুয়ায় ৭৪টি প্রাথমিক ও ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সাইক্লোন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার হবে। ৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবী দূর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে চালু করা হয়েছে জরুরি হটলাইন নম্বর।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পান আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আজ মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আম্পান আঘাত হানলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ১০ মিটার উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে এবং বাতাসের গতিবেগ প্রতিঘণ্টায় ১৪০-১৬০ কিলোমিটার হতে পারে।

খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে মঙ্গলবার শেষরাতে আঘাত হানতে পারে সুপার সাইক্লোন আম্পান। তারপর থেকে বুধবার বিকেল/সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে ভয়ঙ্কর শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়।

বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এই সুপার সাইক্লোন আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এদিকে সুপার ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ (সাত) নম্বর পুনঃ ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৭ নম্বর বিপদ সংকেত (পুনঃ) ০৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ০৬ (ছয়) নম্বর পুনঃ ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৬ (ছয়) নম্বর পুনঃ ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত