ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রণোদনা পাচ্ছেন নন-এমপিও শিক্ষকরা

প্রণোদনা পাচ্ছেন নন-এমপিও শিক্ষকরা

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে করোনার প্রভাবে অসহায় জীবন-যাপন করা নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারীদের। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমন একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অন্যদিকে প্রণোদনা দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেশের সব জেলা প্রশাসকদের কাছে নন-এমপিও শিক্ষকদের তালিকা চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, হয়তো সামান্য কিছু করে হলেও শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রণোদনা দেওয়া সম্ভব হবে। তবে এখন বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।

এদিকে শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন দেশের সব জেলা প্রশাসকদের নন-এমপিও স্কুল কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের নির্ধারিত ছকে তালিকা চেয়েছেন

করোনার প্রভাবে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বেতন পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য প্রণোদনা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়।

মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়া নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে রয়েছে ৫ হাজার ২৪২টি। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে নতুন এমপিও পেয়েছে ২ হাজার ৭৩৭টি। এছাড়া অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতির বাইরে রয়েছে আর ২ হাজারেরও বেশি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বেসরকারি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে এক লাখের বেশি।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি এবং এবং শিক্ষক বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স আবেদন পাঠান প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে।

এই আবেদনের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সবুজ সংকেত পেয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য প্রণোদনা চেয়ে প্রস্তাব পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এখনও প্রস্তাবের বিপরীতে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত পায়নি মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারীদের নির্ধারিত ছকে তথ্য চাওয়া হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। ছকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিকাশ নম্বরসহ চাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, এই দুর্দিনে শিক্ষকদের কষ্টের কথা জেনে আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছেন।’

প্রণোদনার জন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের মাধ্যমে যাচাই করে আগামী ২৮ মে’র মধ্যে জেলা প্রশাসকদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তথ্য চেয়ে পাঠানো নির্ধারিত ছকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিকাশ, রকেট, নগদ ও শিওর ক্যাশের নম্বরও চাওয়া হয়েছে। এছাড়া নামের বানানসহ এনআইডি নম্বর চাওয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত