হঠাৎ বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশির কড়া বার্তা
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২০, ১০:১৫
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি কড়া বার্তা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (মাউশি)। জানা গেছে, কিছু বন্ধ প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছে বিকাশ, রকেট ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর পাঠিয়ে টিউশন ফি পরিশোধ করতে চাপ সৃষ্টি করছে এমন অভিযোগ পেয়েছে মাউশি।
এমন অভিযোগ পেয়ে একটি কড়া নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বন্ধ থাকা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় না করতে। একইসঙ্গে বোর্ড বলছে, বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো টিউশন ফি আদায়ে চাপ দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিউশন ফি না নিতে অনুরোধ করে আসছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ বিষয়ে ‘অভিভাবক ঐক্য ফোরাম’ এর সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, বন্ধের সময় শিক্ষার্থীর টিউশন ফি মওকুফ করতে হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় আপদকালীন ব্যয়ভার বহন প্রসঙ্গে জিয়াউল কবির দুলু বলেন, সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিচ্ছে। সেই প্রণোদনা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও দিতে হবে। তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকরাও উপকৃত হবে।
তবে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা টিউশন ফি আদায়ের পক্ষেই। তারা বলছেন, এই মুহূর্তে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কিন্তু গত দুই মাস শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ করা যাচ্ছে না। ফলে প্রতিষ্ঠান সচল রাখতেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি চাওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জিএম নিজামুদ্দিন বলেন, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে নতুন সেশন শুরু হতে যাচ্ছে। এ কারণে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন কার্যক্রমও শুরু করতে হচ্ছে। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে শিক্ষার্থীদের কাছে টিউশন ফি আদায় করছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, এ বিষয়ে চাপ সৃষ্টি না করতে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। এরপরও যদি কোনো অভিযোগ আসে, আমরা দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ দিয়ে কোনো টিউশন ফি আদায় না করতে গত ২৩ এপ্রিল জরুরি নির্দেশনা জারি করে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ
