করোনাকালে পেশা বদলাচ্ছেন শিক্ষকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২০, ২০:২৪
করোনা দুর্যোগে বন্ধ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি সঙ্কটে শিক্ষার্থীদের টাকার উপর নির্ভরশীল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। তিন মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকায় বেতন বন্ধ এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের। তাই জীবন-জীবিকার লড়াইয়ে টিকে থাকতে পেশা বদল করছেন কেউ কেউ।
রাজধানীর গ্রীন লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক আতিকুল ইসলাম। স্কুলের বেতন বন্ধের কারণে শুরু করেছেন আমের ব্যবসা। মধু মাসে মধু ফল বিক্রির এই আয়োজনটা নিছক আনন্দ কিংবা বাড়তি রোজগারের আশায় নয়। জীবন বাঁচাতে ফল বেচতে পথে নেমেছেন। গত কয়েকদিন ধরে স্কুলের সামনেই আম বিক্রি করছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে আতিকুল ইসলাম বলেন, টিউশনি বন্ধ। লকডাউনের কারণে কারো বাসায়ও যাওয়া যায় না। আর আমরা আমাদের বাসায় কোন শিক্ষার্থী পড়াতে পারি না।
আর প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জানান, করোনার কারণে শিক্ষকরা আর বেতন পাচ্ছেন না। তাই স্কুলের সামনে তাদের একটু জায়গা করে দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর মিরপুরের নবাবের বাগ সেন্ট্রাল স্কুলের শিক্ষক এক শিক্ষক পেশা বদলে এখন জুতা বিক্রির কাজ নিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই শিক্ষক জানান, স্কুলের বেতন বন্ধের কারণে ভ্রাম্যমাণ পেশায় যুক্ত হতে হয়েছে। এতে খুবই সীমিত লাভ হয়। যা হয় তাতে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়ে যায়।
দেশের অন্তত সাড়ে ৭ হাজার নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষকের অবস্থাটাই এখন এমন। তবে মাউশি বলছে, সংকটে থাকা শিক্ষকদের অর্থিক সহায়তা দিতে অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে সরকার।
এ প্রসঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি সৈয়দ গোলাম ফারুখ বলেন, প্রায় ৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আমরা আশা করছি ৭ জুলাইয়ের মধ্যে তারা এ টাকাটা পেয়ে যাবেন।
তিনি জানান, এরই মধ্যে কলেজ পর্যায়ে দুই মাসের বেতন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ জার্নাল/টিও/এনএইচ