ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য নতুন কর্মসূচি ডিপিই’র

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২০, ১০:৫৮

প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য নতুন কর্মসূচি ডিপিই’র

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য এক ঘণ্টার নতুন কর্মসূচি শুরু করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আর সেটি হল- ‘ঘরে বসে ফোনালাপ: পাশে আছি’। প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক এবং মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের জন্য এ নতুন কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।

জানা গেছে, শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়, প্রতিষ্ঠান খোলার আগে ও পরে সবার করণীয় এবং করোনায় স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে তাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন এর সঞ্চালকরা। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক যৌথভাবে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। এছাড়া করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির (সিএসআর) আওতায় ফোন কলের মূল্য এবং সঞ্চালকের ব্যয় বহন করবে ব্র্যাক।

অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, প্রতিদিন চারজন করে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ৩০০ জন সঞ্চালক এক ঘণ্টা করে ফোনে কথা বলবেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ ৬৫ হাজার প্রধান শিক্ষক এবং মাঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন তারা। কর্মসূচিটি চলবে প্রায় দুই মাস। এর ব্যয় বহন করবে ব্র্যাক।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্ বলেন, ব্র্যাকের সঙ্গে যৌথভাবে ‘ঘরে বসে ফোনালাপ: পাশে আছি’ কর্মসূচি শিগগিরই শুরু হবে। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপের পর এ বিষয়ে দিন ঠিক হবে।

তিনি আরো জানান, গত ২৭ ও ২৮ জুন এ নিয়ে দু’দিনের পাইলট কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। প্রায় এক হাজার ২০০ শিক্ষক এতে অংশ নিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে সময় নিয়ে এর তারিখ নির্ধারণ করা হবে। গণমাধ্যমে পুরো বিষয়টি তুলে ধরা হবে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এই কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। দীর্ঘ ছুটিকে কাজে লাগিয়ে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকসহ মাঠ কর্মকর্তাদের করণীয় সম্পর্কে ধারণা দেয়া, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয় শেযার করা ও শিক্ষক-ছাত্রসহ সবার খোঁজ-খবর রাখার বিষয়েও ফোনে আলাপ-আলোচনা করা হবে।

কোভিড-১৯ সম্পর্কে সরকারি নির্দেশনা, শিক্ষক ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কী করছেন, ছুটির সময় তাদের করণীয় কী, সেগুলো নিয়ে ফোনালাপ করবেন সঞ্চালকরা। শিক্ষকদের কী করতে হবে, বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় কী, শিশু শিক্ষার্থীরা কীভাবে আনন্দময় শিক্ষা পেতে পারে তাও ফোনালাপ হবে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আগে এবং পরের করণীয় বিষয়টি গুরুত্ব পাবে ফোনালাপে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত