অবশেষে বেতন গ্রেড নিয়ে বিরাট সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সমন্বিত নতুন নিয়োগ বিধি তৈরি করার পরিকল্পনা করছে। নতুন এই পরিকল্পনায় প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড হবে ১২তম। খবর: বাংলা ট্রিবিউন

বর্তমান কাঠামোতে প্রশিক্ষণ পাওয়া প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে এবং প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকরা ১২তম গ্রেডে বেতন পান। আর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা এবং প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকরা ১৫তম গ্রেডে ৯৭০০-২৩৪৯০ টাকা বেতন পান।

আলিম পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়ল

এই বেতন পরিবর্তনে দীর্ঘ দিন থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আন্দোলন করে আসছিলেন।

কিন্তু বেতন গ্রেড বাড়ালেও নিম্নধাপে নির্ধারিত সহকারী শিক্ষকদের বেতন ফিক্সেশনে কমে যায়। সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের দাবি থাকলেও তাদের দেয়া হয় ১৩তম গ্রেড। এতে নিম্নধাপে মূল বেতন ফিক্সেশন করলে উল্টো বেতন কমে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতির শিকার হবেন লাখ লাখ শিক্ষক। কারণ বেশিরভাগ শিক্ষকই ইনক্রিমেন্ট পেয়ে আগে থেকে ১৩ গ্রেডের কাছাকাছি বা বেশি বেতন পাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে গত ২৮ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৩ তম গ্রেডের নিম্নধাপের সহকারী শিক্ষকদের একধাপ ওপরে বেতন নির্ধারণের প্রস্তাব করে অর্থ বিভাগে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, ‘প্রস্তাবনা তৈরি করেছি। এমএলএস থেকে মহাপরিচালক পর্যন্ত একটা নিয়োগ বিধির আওতায় সবার জন্য ক্যারিয়ার প্ল্যান করা হচ্ছে। এটি মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা চলছে। শিগগিরই এটি জনপ্রশাসনে পাঠানো সম্ভব হবে। দশম গ্রেডে শিক্ষকদের নেওয়ার জন্য প্রস্তাবনা রয়েছে। ’

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন জানান, অর্থ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত একধাপ উপরে বেতন নির্ধারণের বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে। যাতে শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য না থাকে।

উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সহকারী শিক্ষকদের ১৪ থেকে একধাপ বাড়িয়ে ১৩তম গ্রেড নির্ধারণ করে আদেশ জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আদেশের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন সব শিক্ষকই ১৩তম গ্রেডে বেতন পাবেন। নতুন এই বেতন গ্রেডে সহকারী শিক্ষকদের বেতন ক্রম হবে ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা।