ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

চৌর্যবৃত্তি প্রমাণিত: সামিয়া-মারজানের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:২৮  
আপডেট :
 ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:২১

চৌর্যবৃত্তি প্রমাণিত: সামিয়া-মারজানের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল

চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে প্রবন্ধ প্রকাশ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান এবং অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর আগে তাদের বিরুদ্ধে প্রখ্যাত দার্শনিক মিশেল ফুকোর প্রবন্ধ থেকে চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে প্রবন্ধ প্রকাশ করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া রহমান ও মাহফুজুল হক মারজান যৌথভাবে ‘এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার : এ কেস স্ট্যাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ নামক একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ’ নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত ওই প্রবন্ধের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এক লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই চুরির কথা জানিয়েছিল ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস। অভিযোগ, প্রবন্ধের বেশিরভাগই নেয়া হয়েছে প্রখ্যাত দার্শনিক মিশেল ফুকোর প্রবন্ধ 'দি সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার' থেকে। যেটি ১৯৮২ সালে শিকাগো জার্নালে প্রকাশিত হয়। এর প্রকাশকও ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের প্রকাশিত প্রবন্ধটি আট পৃষ্ঠার। আর এই আট পৃষ্ঠার প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠাই মিশেল ফুকোর 'দি সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার' প্রবন্ধ থেকে হুবহু নেয়া। শিকাগো জার্নালে প্রকাশিত মিশেল ফুকোর ওই প্রবন্ধ ছিল ১০ পৃষ্ঠার।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তৎকালীন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমেদকে প্রধান করে দুটি কমিটি গঠন করে হয়। কমিটির তদন্তে সামিয়া ও মারজানের গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তির সুপারিশ করা হয়নি।

তাই তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী এএফএম মেজবাহ উদ্দীনকে প্রতিবেদনটি দেয়া হয় সুপারিশের জন্য। পরে গত বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) তিনি তা সিন্ডিকেটে নিয়ে আসেন। এরপর সিন্ডিকেট ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এএসএম অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, তাদের বিরুদ্ধে যেহেতু প্লেজারিজমের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাই এখন তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তি নেয়া যায় তার জন্য এটাকে ট্রাইব্যুনালে নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত