ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান প্যানেল প্রত্যাশীরা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:০৬

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান প্যানেল প্রত্যাশীরা

প্যানেলের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ২০১৮ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নতুন নিয়োগ না দিয়ে প্যানেল গঠন করে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ২০১৪ সালের নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও সেটি ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়। ফলে তাদের জীবন থেকে চারটি বছর চলে গেছে। আমরা এই চার বছর ফেরত চাই। না হলে আমাদের প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে।

তারা আরো বলেন, ২০১৪ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা ছিল শূন্য পদের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। অথচ ২০ হাজার শূন্য পদ থাকলেও নিয়োগ দেওয়া হয় ৯ হাজার ৭৬৭ জন। আবার বিতর্কিত ২০১৮ সালের (২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত) পরীক্ষায় ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের স্থলে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৮ হাজারের বেশি। এক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে।

২০১৪ সালে স্থগিত ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়োগ বঞ্চিত ১৯ হাজার ৭৮৮ জন প্রার্থী প্যানেলের অপেক্ষায় রয়েছেন। আগে দুটি পুল ও প্যানেলের মাধ্যমে ৪৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগের মামলা জটিলতার কারণে ২০১৪ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি চার বছরের জন্য স্থগিত ছিল। ২০১৮ সালের অক্টোবরে যখন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তখন শূন্যপদ পূরণ না করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি তুলে ধরে জানানো হয়, ২০১৪ সালে স্থগিত (২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত) পরীক্ষায় মোট ১৪ লাখের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৯ হাজার ৫৫৫ জন প্রার্থী। ওই পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ। অথচ এদের মধ্যে চূড়ান্ত নিয়োগ দেয়া হয় মাত্র ৯৭৬৭ জনকে। বিপুল সংখ্যক যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

পরীক্ষাটি ৪ বছর স্থগিত থাকার কারণে প্রায় ৯০ শতাংশ প্রার্থীর চাকরিতে আবেদনের বয়স শেষ হয়ে গেছে। এর ফলে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হন তারা। ২০১৪ সালের প্যানেল প্রত্যাশীদের সংখ্যা বর্তমানে খুব বেশি নয়।

বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা ৬০ হাজার দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এত শূন্য পদ থাকার পরও কেনো ১৯ হাজার ৭৮৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে না? তাছাড়া অনেকেই অন্য পেশায় চলে যাওয়ার কারণে এই সংখ্যাও কমে গেছে।

২০১৪ সালে স্থগিত (২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্যানেলের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়ক সালেহা আক্তার, সংগঠনের নেতা জাকির হোসেন রিয়াদ, মহুয়া আক্তার, পপি ইয়াসমিন, মহসিন আলম, রাসেল আনসারী প্রমুখ।

আরো পড়ুন

মারা যাওয়ার চার মাস পর শিক্ষককে বদলি​

প্রাথমিকে প্রধানমন্ত্রীর নতুন উদ্যোগ, দেয়া হবে হাজার টাকা

৩ অক্টোবরের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানা গেল

প্রাথমিকে বাড়ছে বরাদ্দ

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত