ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩১ মিনিট আগে
শিরোনাম

অবশেষে খুলছে প্রাথমিক শিক্ষকদের পদোন্নতির দ্বার

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:২২  
আপডেট :
 ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:৩৪

অবশেষে খুলছে প্রাথমিক শিক্ষকদের পদোন্নতির দ্বার

দীর্ঘ ২৬ বছর পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সরাসরি পদোন্নতি দেয়ার কাজ শুরু করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১৯৯৪ সালে পদোন্নতির এই সিঁড়ি বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে সেই সেই বন্ধ দ্বার খুলছে।

আরো পড়ুন- যে ৯ নির্দেশনায় খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়

এতে করে প্রধান শিক্ষকদের পরবর্তী পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। অর্থাৎ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে উপজেলা/থানা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির পাওয়ার বদ্ধ দ্বার খোলার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এর আগে ১৯৯৪ সালে পদোন্নতির এই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।

জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ৮০ শতাংশ প্রধান শিক্ষক পদ থেকে পদোন্নতি দেয়া হলেও বাকি ২০ শতাংশ বাইরে থেকে উন্মুক্ত প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেয়ার খসড়া করা হয়েছে। এ জন্য দীর্ঘ ২৬ বছর পর আবারও প্রধান শিক্ষকদের সরাসরি পদোন্নতি দেয়ার উদ্যোগ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আরো পড়ুন- সবকিছু প্রস্তুত, নভেম্বরে হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা​

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক থেকে পরবর্তী পদে পদোন্নতির সুযোগ থাকলেও ১৯৯৪ সালে পদোন্নতির এই প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। কেন বন্ধ করা হয়, তার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে সেটি আবার চালু হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘একটি সমন্বিত চাকরিবিধিমালা তৈরির মাধ্যমে আবারও সেটি চালু করা হবে। এক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকদের ৮০ শতাংশ জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি এবং ২০ শতাংশ সরাসরি প্রশাসনিক পদে নিয়োগ দিতে একটি খসড়া বিধিমালা তৈরি করা হয়েছে।’

আরো পড়ুন- যেখানে চাইলেই বদলি হতে পারেন প্রাথমিক শিক্ষকরা!

‘প্রশাসনিক উন্নয়ন সচিব কমিটিতে এটি যাবে। সেখানে খুঁটিনাটি বিস্তারিত আলোচনা হবে। পরবর্তীতে এটি চূড়ান্ত করে মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে’ বলে জানান তিনি।

খসড়া নীতিমালায় সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে ‘উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার’ পদে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ রাখা হয়নি। এ ব্যাপারে আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘কেউ কোনো ব্লক পোস্টে আটকে থাকুক, সেটি চাই না। এতে কোনো প্রণোদনা থাকে না। শিক্ষকরাও ধাপে ধাপে উপরের পদে পদোন্নতি পাবেন। এজন্য পদোন্নতির সোপান তৈরি করা হচ্ছে।’

আরো পড়ুন- ৮ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অটো প্রমোশন​

মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা বর্তমানে দুটি শর্ত পূরণ করে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে ‘উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার’ পদে পরীক্ষা দিতে পারেন। শর্ত দুটি হলো- শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর ও বয়স ৪৫ বছরের মধ্যে। এভাবে অতীতে অনেক শিক্ষকই সুযোগ পেয়েছেন কর্মকর্তা হওয়ার। ১৯৮৫ সালের নিয়োগবিধি অনুযায়ী, সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক, পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ ছিল। ১৯৯৪ সালে নিয়োগবিধি সংশোধনের পর শিক্ষকদের এভাবে কর্মকর্তা হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়।

আরো পড়ুন- শিক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নতুন ঘোষণা​

বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে ‘সমন্বিত নিয়োগবিধিমালা-২০২০’। এতে প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে শুধু প্রধান শিক্ষকদের জন্য এ সুযোগ রাখা হয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে ‘উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার’ পদে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ রাখা হয়নি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত