ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

যেসব প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:৪৮

যেসব প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা
ফাইল ছবি

জাতীয়করণ হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে এখনও যারা যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি তাদের চাকরি থাকবে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। খবর: বাংলা ট্রিবিউন

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যেসব শিক্ষকের কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা নেই, তাদের তিন বছরের মধ্যে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। যারা তিন বছরের মধ্যে যোগ্যতা অর্জন করেননি, তাদের শিক্ষক হিসেবে থাকার কথা নয়। অনেকেই রয়ে গেছে, যারা যোগ্যতা অর্জন করেননি। শুধু তারা নন, যারা বেতন-ভাতা দিচ্ছেন তারাও বিপদে পড়বেন। অডিটে আপত্তি আসবে যে তিন বছরের মধ্যে যোগ্যতা অর্জনের কথা বলা ছিল, তা না করলে কীভাবে বেতন দেয়া হলো।’

এদিকে, উক্ত সমস্যার সমাধান না হতেই কেউ অবসরে গেলে পেনশন-গ্র্যাচুয়িটি পাবেন কিনা বা এতদিন ধরে নেয়া বেতন ফেরত দিতে হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার তিনটি ধাপে নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৬ হাজার ১৯৩টি জাতীয়করণ করে। এসব বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকের কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা ছিল না। জাতীয়করণের পর শিক্ষক আত্তীকরণের সময় এসব শিক্ষকের তিন বছরের মধ্যে সিইন-এড কোর্স সম্পন্ন করে এইচএসসি সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়। এসব শিক্ষকের একটি অংশ কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়। যোগ্যতা অর্জন না করেই অনেকে অবসরেও গেছেন। অবসরে যাওয়া শিক্ষকরা পেনশন-গ্র্যাচুয়িটি পাচ্ছেন না। এই বিষয়টি সামনে আসার পর প্রশ্ন উঠেছে, কর্মরত যারা এখনও যোগ্যতা অর্জন করেননি, তাদের চাকরি থাকবে কিনা?

এসব শিক্ষকের যোগ্যতা অর্জনে আরো সময় দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘তাদের তো চাকরি থাকার কথা নয়। এ জন্যই তথ্যগুলো চাচ্ছি, সমস্যার সমাধান করতে।’

এদিকে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যদি শর্ত শিথিল করে আরো যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ দেয়া হয়, তাহলে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষকদের সিইন-এড (সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন) কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। ১৯৮৫ সালের নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে সবার নিয়োগের যোগ্যতা নির্ধারণ করা ছিল শুধু মাধ্যমিক পাস। ওই বিধিমালা অনুযায়ী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। ১৯৯১ সালের নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয় নারীদের মাধ্যমিক (এসএসসি) এবং পুরুষদের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি)।

কয়েক দফায় নিয়োগ যোগ্যতা বাড়ানোর পর সরকার নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে। এরপর শিক্ষকদের শর্ত দেয়া হয় তিন বছরের মধ্যে এসএসসি বা সিইন-এড সার্টিফিকেট কোর্স পাস করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব এবং সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ‘জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষক কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তাদের আরো সময় দেয়ার উচিত মানবিক বিবেচনায়।’

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের পর আরো দুই দফায় নিয়োগ যোগ্যতা বাড়ানো হয়। ২০১৩ সালের নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী নারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি ও পুরুষদের জন্য স্নাতক করা হয়। সর্বশেষ নিয়োগবিধি-২০১৯ অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

বেতন জটিলতা নিয়ে আশার কথা শোনালেন সচিব

উচ্চতর গ্রেডে শিক্ষকদের বেতন কমবে কিনা জানালো মন্ত্রণালয়!

অবশেষে খুলছে প্রাথমিক শিক্ষকদের পদোন্নতির দ্বার

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে নতুন করে যা জানাল শিক্ষা বোর্ড

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত