যে তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিকে পদোন্নতি পাচ্ছেন তারা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২০, ১৮:৪৪ আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২০, ১৮:৫২
দেশের অর্ধশত উপজেলার থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় অভিভাবকহীন ভাবেই চলছে প্রাথমিকের শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। মামলা জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিকে থানা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) পদে পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন উপজেলার ৫০টি মাঠ কর্মকর্তার পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। এ কারণে বর্তমানে সহকারী প্রাথমিক থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের (এটিইও) চলতি দায়িত্বে এসব পদে বসানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, এরই মধ্যে মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে জ্যেষ্ঠতার তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই দেশের শূন্য থাকা ৫০টি জেলায় জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেয়া হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এটিইও থেকে টিইও পদে পদোন্নতি দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। মাঠ কর্মকর্তাদের পাঠানো তথ্যের ওপর জ্যেষ্ঠার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেয়া হবে। দ্রুতই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপাতত প্রধান শিক্ষকের মতো এটিওদেরকে টিও পদে চলতি দায়িত্বের বসানো হবে। তাদেরকে অতিরিক্ত সম্মানী দেয়া হবে। এটা স্থায়ী পদোন্নতি বলে গণ্য হবে না।’
জানা যায়, পদটি প্রথম শ্রেণির অষ্টম গ্রেডের হওয়ায় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) নিয়োগ ক্ষমতা আওতাভুক্ত হওয়ায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ পদে নিয়োগ দিতে পারছে না। মামলা জনিত কারণে পদ শূন্য থাকলে পিএসসিও নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব কারণে চলতি দায়িত্বে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এটিইও থেকে টিইও পদে বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/একে/কেআই
