যেসব শিক্ষকের এমপিওভুক্তির সমাধান করেছে মাউশি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২০, ১৯:০৮
এমপিওভুক্তি নির্দেশিকা-২০১০ মতে মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিটি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের একটি মাত্র পদ ছিল। কিন্তু ২০১৮তে কোনো বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগ চালু থাকলে সহকারী শিক্ষক (ভৌত বিজ্ঞান) ও জীববিজ্ঞানের দুটো পদ সৃষ্টি করা হয়। এরই মধ্যে ২০১৯ সালে এনটিআরসিএ ২য় চক্রে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে নিয়োগ পেয়ে অনেকেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। এরই প্রেক্ষিতে পূর্বে নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান) এবং পরে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক (ভৌত বিজ্ঞান) এর এমপিওভুক্তি সমস্যা হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার এ সমস্যা সমাধানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এক অফিস আদেশ দিয়েছে। অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন সাক্ষরিত এ আদেশে বলা হয়, যে সব শিক্ষক ভৌত বিজ্ঞান পদে এখনো এনটিআরসিএ সুপারিশ পাননি অর্থাৎ আগের নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী বিজ্ঞান শিক্ষক হিসেবে হিসেবে কর্মরত আছেন। ওই শিক্ষকের পঠিত বিষয় যদি পদার্থ বা রসায়ন হয়ে থাকে তাকে সহকারী শিক্ষক (ভৌত বিজ্ঞান) করা যাবে। আর কোন শিক্ষকের পঠিত বিষয় উদ্ভিদ বিজ্ঞান বা জীববিজ্ঞান হয়ে থাকলে তাকে সহকারী শিক্ষক (জীববিজ্ঞান) পদে এমপিও করা যাবে।
এছাড়াও মাধ্যমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালের পূর্বে যেসব শিক্ষক বিজ্ঞান পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত আছেন। তাদেরকে সহকারী শিক্ষক জীববিজ্ঞান পদে এমপিওভুক্ত করা হবে। পরে পদটি শূন্য হলে এনটি আরসিএকে যথাযথ মাধ্যমে চাহিদা পাঠাতে হবে।
এনটি আরসিএ থেকে ২য় চক্রে সুপারিশ পেয়ে যে সব শিক্ষক (ভৌত বিজ্ঞান) পদে আছেন। তাদেরকে এই পদে রেখেই এমপিওভুক্ত করতে হবে। এমপিওভুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী শূণ্যপদে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের চাহিদা এনটিআরসিএকে প্রেরণ করতে হবে।
একে/এনএইচ