ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

গণবিজ্ঞপ্তি না হওয়ায় হতাশ চাকরিপ্রার্থীরা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২০, ১৪:৪১  
আপডেট :
 ০৩ নভেম্বর ২০২০, ১৫:১৬

গণবিজ্ঞপ্তি না হওয়ায় হতাশ চাকরিপ্রার্থীরা

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এ পর্যন্ত দুই গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে দুই দফায় শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। দুই গণবিজ্ঞপ্তিতে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে নিয়োগ পেয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষক। এখন তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি জারির অপেক্ষায় এনটিআরসিএ। তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়ায় আটকা পড়েছেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী।

জানা যায়, এক বছর আগে ১৫তম এনটিআরসিএ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হলেও নিয়োগ পায়নি ১১ হাজারের বেশি চাকরি প্রার্থী। তাদের নিয়োগ আটকে আছে ১৩তম পরীক্ষা নিয়ে মামলার কারণে। এ জটিলতায় পড়ে অপেক্ষামাণ প্রার্থীদের অনেকেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি পাবেননা। কারণ চাকরিতে প্রবেশেরে জন্য নির্ধারিত ৩৫ বছর পেরিয়ে গেলে তারা চাকরির সুযোগ হারাবেন।

এদিকে এনটিআরসিএর আইন অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল দিতে হবে। তবে এক বছর পেরিয়ে গেলেও ফল প্রকাশ করা হয়নি। ১৬ তম নিবন্ধনের (লিখিত পরিক্ষা) ফলের অপেক্ষায় আছেন ২ লাখ ২৮ হাজার প্রার্থী। কবে ফল প্রকাশিত হবে, সবাই নিয়োগ পাবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আর করোনার কারণে স্থগিত হওয়া ১৭তম নিবন্ধনের আবেদনকারী সাড়ে ১১ লাখ প্রার্থী জানেননা প্রিলিমিনারি পরীক্ষা কবে হবে।

এ প্রসঙ্গে এনটিআরসি এর চেয়ারম্যান মো.আকরাম হোসেন বলেন, ‘সবকিছু নিয়েই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। অনুমতি পেলেই এসব বিষয় নিস্পত্তি করা হবে।’

এনটিআরসি মূলত ২০০৫ সাল থেকে বেসরকারি স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা ও কারগরি বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিবন্ধন পরীক্ষার আয়োজন করে। এ পর্যিন্ত একটি বিশেষ পরিক্ষাসহ মোট ১৫টি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা হয়েছে। শিক্ষক নিবন্ধন পরিক্ষা এনটিআরসিএ আয়োজন করে থাকলেও নিয়োগ চূড়ান্ত করত সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ। কিন্তু অনিয়ম,দূর্নীতি ও সজনপ্রীতির অভিযোগ উঠলে ২০১৫ সাল থেকে এনটিআরসেএকে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

নীতিমালায় বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষক চাহিদা পাঠাবে এনটিআরসিএতে। সেখান থেকে নির্বাচিত বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের তালিকা পাঠানো হবে প্রতিষ্ঠানে। সে তালিকা থেকেই শিক্ষক নিয়োগ দিবে প্রতিষ্ঠানগুলো। পরিচালনা পর্ষদ এখন শুধু শিক্ষকের নিয়োগপত্র জারি করবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত