ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিক্ষকদের মাউশি ডিজির জরুরি নির্দেশনা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২০, ১৫:১৮

শিক্ষকদের মাউশি ডিজির জরুরি নির্দেশনা

মহামারি করোনার কারণে গত মার্চ থেকে বন্ধ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে নভেম্বরের শুরু থেকে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে অ্যাসেসমেন্ট দক্ষতা যাচাই শুরু হয়েছে। অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর খাতায় ‘অতি উত্তম’, ‘উত্তম’, ‘ভালো’ বা ‘অগ্রগতি প্রয়োজন’ কেন লিখছেন তার কারণ অ্যাসাইনমেন্টের ওপর বিস্তারিত লিখতে শিক্ষকদের নির্দেশনা দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক।

মঙ্গলবার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের এ অনুরোধপত্র পাঠান তিনি।

মাউশি ডিজি লিখেন, ‘সম্মানিত শিক্ষকগণ, আপনারা জানেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরীর দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশের গোটা শিক্ষা পরিবার কাজ করে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণজনিত কারণে স্কুল বন্ধ থাকলেও আপনারা নানাভাবে পাঠদান করে আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণ যেন অব্যাহত থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখেছেন। সর্বশেষে যে কাজটি আপনারা এখন আন্তরিকতার সঙ্গে করছেন সেটা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া, গ্রহণ করা, মূল্যায়ন করা এবং শিক্ষার্থীদের পুনরায় সেই মূল্যায়িত অ্যাসাইনমেন্টটি দেখিয়ে তা স্কুলে সংরক্ষণ করা। লক্ষ্য করা যাচ্ছে উপরে উল্লিখিত প্রত্যেকটি কাজ আপনারা নিয়মিত করছেন।’

‌‘কেবল একটি বিষয় আপনাদের আরও মনোযোগ দিয়ে করতে হবে। সেটা হচ্ছে শিক্ষার্থীর খাতায় আপনি যখন ‘অতি উত্তম’ ‘উত্তম’ ‘ভাল’ বা ‘অগ্রগতি প্রয়োজন’ লিখছেন, সেটা কেন লিখছেন তার কারণ এরই মধ্যে পাঠানো ‘শিক্ষকের জন্য মূল্যায়ন নির্দেশনা’ অনুসরণ করে বিস্তারিতভাবে অ্যাসাইনমেন্টের ওপর লিখতে হবে। যেন শিক্ষার্থী তার সবলতা বা দুর্বলতা বুঝতে পারে এবং পরে আমরা যখন এসব অ্যাসাইনমেন্টগুলো সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করবো সেক্ষেত্রেও আপনার মূল্যবান বিস্তারিত মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনারা যদি এ অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারেন, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদশের শিক্ষা ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের মুখস্থ নির্ভরতা কমবে, তারা সূক্ষ্ম চিন্তা করতে শিখবে এবং সৃষ্টিশীল হবে। পরীক্ষা দেওয়ার সময় তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে, পরীক্ষা ভীতি চলে যাবে এবং পরীক্ষা হয়ে উঠবে শিখনফল অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। অর্থাৎ পরীক্ষা দিতে নিজের অজান্তেই তারা অনেক কিছু শিখে ফেলবে।’

মহাপরিচালক শিক্ষককদের আরও লিখেছেন, ‘আসুন করোনা আমাদের জন্য যেসব সমস্যা তৈরি করেছে, সেসব সমস্যাকে সুযোগে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা তৈরি করার জন্য যে গুণগত শিক্ষা প্রয়োজন তা যেন আমাদের শিক্ষার্থীরা অর্জন করতে পারে তা নিশ্চিত করি।’

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত