ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঢাবিতে শহীদ আসাদ স্মরণে পাঠাগার

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:১৩

ঢাবিতে শহীদ আসাদ স্মরণে পাঠাগার
শহীদ আসাদ পাঠাগার। ছবি- প্রতিনিধি

স্বৈরশাসক বিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ আসাদের স্মরণে পাঠাগার স্থাপন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ হল। আসাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।

১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে বাংলার ছাত্র সমাজের ১১ দফা দাবির মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদ। পরে এর জের ধরেই ২৪ জানুয়ারি সংঘঠিত হয় গণঅভ্যুত্থান।

বৃহস্পতিবার শহীদ আসাদ পাঠাগারটি উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। শহিদুল্লাহ হল ছাত্র সংসদের সার্বিক সহোযোগিতায় পাঠাগারটি নির্মাণ করা হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেন ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার। ১২০ আসনবিশিষ্ট এ পাঠাগারটি শিক্ষার্থীদের মাঝে ইতিহাস চর্চার অভ্যাস গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন শহীদুল হল ছাত্র সংসদের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও এটি শিক্ষার্থীদের পাঠাগার সঙ্কট অনেকাংশে কমিয়ে আনবে বলে মনে করছেন তারা।

শহিদুল্লাহ হলে শহীদ আসাদ পাঠাগার উদ্বোধন

পাঠাগারের উদ্বোধনের পর অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, আসাদ নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে আমাদের মুক্তির আন্দোলনকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এমন একজন ব্যক্তির স্মরণে পাঠাগার স্থাপনকে সাধুবাদ জানন তিনি।

আসাদের আন্দোলনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আসাদ ছিলেন উনসত্তরের টার্নিং পয়েন্ট। ৫টি মামলা মাথায় নিয়েও এতটুকু বিচলিত হননি তিনি। একটি জাতিরাষ্ট্র উপহার দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে তিনি নিজের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন। এটি হচ্ছে বীরের মৃত্যু। এই মৃত্যু সফলতার আসন। হয়তো অল্প বয়সে তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন, কিন্তু ইতিহাস যতদিন লিপিবদ্ধ থাকবে, ততদিন আসাদের নাম থাকবে।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম বলেন, আসাদ বর্তমান ছাত্রদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। পাঠাগারটি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান- বিজ্ঞান ও ইতিহাস চর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসাদের ছোট ভাই ড. নুরুজ্জামান হক। তিনি ভাইয়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার ভাই এই হলে (ড. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ হল) অর্ধযুগ ছিলেন। আসাদ ভাই সেদিন নিজেকে ও তার পরিবারকে উপেক্ষা করে নিজ প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল। ঊনসত্তরের সেরা দশ জন নায়কের মাধ্যে আসাদ একজন।

এছাড়াও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূইয়া, ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ্ মো. মাসুম এবং ডাকসুর সাবেক নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত