ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

একাডেমিক কাউন্সিলেও ঢাবি না খোলার সিদ্ধান্ত

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:৫৭  
আপডেট :
 ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:১২

একাডেমিক কাউন্সিলেও ঢাবি না খোলার সিদ্ধান্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পহেলা মার্চ থেকে আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে বসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বৈঠকে সরকারের সিদ্ধান্তই মেনে নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। এর ফলে ঈদের আগে আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সম্ভাবনা রইলো না। এ রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিলো।

সোমবার উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান জানিয়েছিলেন, জাতীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কম। একইদিন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ঈদ-উল-ফিতরের ছুটির পর ২৪শে মে থেকে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। এর এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ ১৭ই মে থেকে আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হবে। এই মধ্যবর্তী সময়ে অনলাইনে ক্লাস চলবে।

অন্যদিকে আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবিতে সোমবার দুপুরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, ১৭ই মে আবাসিক হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে তাদের আস্থা নেই। কারণ এর আগেও বেশ কয়েকবার হল খোলার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, একাডেমিক কাউন্সিলে হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত না হলে, আবারো আন্দোলনে যাবেন তারা।

ভার্চুয়াল সভায় সোমবার দিপু মনি বলেন, আবাসিক হল খোলার আগেই ১২০টি হলের এক লাখ ৩০ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী সেইসঙ্গে শিক্ষক কর্মচারীদের টিকা দেয়া ব্যবস্থা করতে হবে। সব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খোলার প্রস্তুতি নেবে।

মন্ত্রী বলেন, যারা বিসিএস পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক, পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ- বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সাপেক্ষে পিছিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া বয়সের কারণে কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন, তাদের ব্যাপারে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি জানান।

হলে কোন শিক্ষার্থী অবস্থান নিলেও তাদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দীপু মনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে যদি কেউ শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে সম্পৃক্ত হন, তাহলে তাদের দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান নেবে না। সেক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভ্যন্তরীণ বিষয় সামাল দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে শনি এবং রোববার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙ্গে হলে ঢুকে পড়ে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হল খুলে দেয়ার দাবীতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ১৭ মার্চ থেকে অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। যা আজ পর্যন্ত চালু হয়নি। এতে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত