বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের আবেদনে তথ্য পূরণে ভোগান্তি

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে আবেদন ও তথ্য পূরণ করতে সমস্যায় পড়ছেন প্রথম থেকে পঞ্চম ব্যাচের নিবন্ধনধারীরা। ফলে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারছেন না তারা। একাধিক নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষক বাংলাদেশ জার্নালকে এ অভিযোগ করেছেন।

মোস্তফা কবীর নামে এক আবেদনকারী বলেন, আমি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-২০০৬ অর্থাৎ দ্বিতীয় ব্যাচের পরীক্ষায় কলেজ পর্যায়ে (প্রভাষক/বাংলা) উত্তীর্ণ হই। জাতীয় মেধাতালিকায় আমার রোল নম্বর দেখাচ্ছে কিন্তু নাম দেখাচ্ছে না। ডাটা কালেকশন (১ম থেকে ৫ম ব্যাচ) বাটনে ঢুকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাবমিট করার পর দেখাচ্ছে ‘ইতিমধ্যে এখানে তথ্য আছে’। এ কারণে আমি শিক্ষক নিয়োগে আবেদন করতে পারছি না।

৫ ঘণ্টা এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে যা জানালো এনসিটিবি

এর আগে প্রথম থেকে পঞ্চম ব্যাচের নিবন্ধনধারীদের নিয়োগের আবেদন করার আগে এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইট থেকে নির্ধারিত লিংকে গিয়ে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য দিতে বলা হয়। এই তথ্য পূরণের পর নিয়োগের জন্য আবেদন করতেও বলা হয়েছে। কিন্তু অনেক আবেদনকারী জানিয়েছেন, তারা নির্ধারিত লিংকে গিয়ে সকল তথ্য পূরণ করে সাবমিট করলে তা নিচ্ছে না।

অপর এক প্রার্থী জানান, ডাটা কালেকশন (১ম থেকে ৫ম ব্যাচ) বাটনে ঢুকে তিনি তথ্য দিতে পেরেছেন ঠিকই, তবে সমন্বিত মেধাতালিকায় তার নাম দেখাচ্ছে না। সেখানে দেখাচ্ছে ‘সঠিক তখ্য সংগ্রহ করা হবে’।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান মো. আশরাফ উদ্দিন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘সবকিছু ভালোভাবে চলছে। তবে, একসঙ্গে অনেকে আবেদন করছেন, যার ফলে কিছু সমস্যা হতে পারে। টেকনিক্যাল সমস্যা সমাধানে কয়েকটি টিঅ্যান্ডটি নম্বর ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। যেকোনো প্রার্থী অফিস টাইমে ফোন করে সমাধান জেনে নিতে পারবেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘টেকনিক্যাল সমস্যার বিষয়ে আমরা বৈঠক করেছি। অনেকগুলোর সমাধান করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত আর কোনো সমস্যা থাকবে না।’

জরুরি প্রয়োজনে শাহীন আলম চৌধুরী (উপ-পরিচালক)- ০২-৪১০৩০১২৯. ফায়জার আহমেদ (সহকারি পরিচালক)- ০২-৪১০৩০৩৯৩, ফারজানা রসুল (সহকারি পরিচালক)- ০২-৪১০৩০১৩১, রুহুল কুদ্দুস চৌধুরী (উপ-পরিচালক)-০২-৪১০৩০০৪১, তাহসিনুর রহমান (পরিচালক)-০২-৪১০৩০১২৪ এবং ০১৬৩৫৪০৫৮০১ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ৩০ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এটি ৪ এপ্রিল থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। এর মাধ্যমে ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদ পূরণ করা হবে। এতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বয়সসীমা শিথিল করে সকল নিবন্ধনধারীকে আবেদন করার সুযোগ দেয়া হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/একে/ওয়াইএ