ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

লকডাউনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের যা করণীয়

  আসিফ কাজল

প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৪০

লকডাউনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের যা করণীয়
ফাইল ছবি

আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে কার্যকর হচ্ছে সাত দিনের সর্বাত্নক লকডাউন। সরকার এ সাতদিনকে সাধারণ ছুটি হিসেবে ঘোষণা করায় বন্ধ থাকবে সব ধরণের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। আবার অনেকেই ধারণা করছেন এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে। এই সূত্র ধরে অনেক শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মস্থল ত্যাগ করছেন। তবে এই লকডাউনে কোনো শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।

ডিপিই সূত্র জানায়, লকডাউনকে কেন্দ্র করে মানুষ যেমন রাজধানী ছাড়ছেন তেমনি সাত দিনের সাধারণ ছুটির সুযোগে অনেক শিক্ষা কর্মকর্তাও ‘স্টেশন লিভ’ করছেন। তবে অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তা তাদের কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম কমিশনারদের নিয়ে একটি অনলাইন বৈঠক করেন। এ মিটিং এর সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী শিক্ষকরা স্কুলে না গেলেও ক্যাচমেন্টে থাকতে হবে। যেনো জরুরি মুহূর্তে তাদেরকে পাওয়া যায়। রেজুলেশনের মাধ্যমে একটি নির্দেশনাও ডিপিই মহাপরিচালকের মাধ্যমে সব শিক্ষা অফিসে এ আদেশ পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, যেহেতু শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন তাদেরকে স্কুলে না গেলেও ডিপিইর পাঠানো লেসন প্লান অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এছাড়াও রেডিও ও টেলিভশনে যে পাঠদান কার্যক্রম চলছে শিশুরা তাতে অংশগ্রহণ করছে কি না তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষকরা তাদের রেকর্ড রেজিস্ট্রার রাখবেন যাতে শিক্ষকরা শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকদের সঙ্গে কি কথা বলেছেন। বাড়ির কি কাজ দিয়েছেন তা রেকর্ড করে রাখতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মনীষ চাকমা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, শিক্ষকদের নিয়োগ উপজেলা ভিত্তিক হয়। এছাড়াও তাদের স্কুল দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। এ কারণে তাদের কর্মস্থল ত্যাগ করার কি আছে। তবে আমি শুনেছি কিছু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কর্মস্থল ত্যাগ করছেন। যদি সংশ্লিষ্টদের না জানিয়ে কোনো কর্মকর্তা কর্মস্থল ত্যাগ করে তবে সেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ জার্নালের। শিক্ষকরা বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও শিক্ষকদের নিয়মিত স্কুলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এবার জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরণের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ কারণে হয়তো এসময়টাতে আমাদেরকে স্কুলে যেতে হবে না। তবে প্রাথমকি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আমাদেরকে দেয়া হয়নি।

বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারজানা আক্তার বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, স্টেশন লিভ বলতে যদি কেউ চট্টগ্রামে অবস্থান করে তবে সে চট্টগ্রামেই থাকবে। আমাদের প্রতিষ্ঠান যেহেতু জরুরি সেবার মধ্যে পরে না তাই আমরা বাড়িতেই অবস্থান করবো।

জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সংগঠনের সভাপতি মো. মোফাজ্জল হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বর্তমানে মোবাইলে পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। লকডাউনেও কোনো কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক কোনোভাবেই কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনাও রয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, মুঠোফোনে পাঠদান কার্যক্রমের বিষয়কে অবশ্যই আমি সাধুবাদ জানাই। তবে সরকারি প্রজ্ঞাপনের কোথাও শিক্ষকদের কর্মস্থলে থাকার বা স্টেশন লিভ করার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ নেই। তবে নির্দেশনা পেলে শিক্ষকরা তা মানতে বাধ্য বলে জানান তিনি।

আরো পড়ুন

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের আবেদনে তথ্য পূরণে ভোগান্তি

তদন্ত চেয়ে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর অনুরোধ

যেসব শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতার চেক ছাড়

যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান বাতিল হচ্ছে

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত