বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কঠোর হচ্ছে ডিপিই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২১, ১৭:০৪
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে একটি শাখার নাম তদন্ত ও শৃংখলা শাখা। প্রতিদিন এই শাখায় জমা হয় একাধিক অভিযোগ। তবে অভিযোগ যারা দেখভাল করেন তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগের সংখ্যা কম নয়। সেবাপ্রত্যাশীরা জানান, অভিযোগ করার পরও কাঙ্খিত ফল মিলছে না। অনেক সময় দেখা যায় অভিযোগকারীরাই নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তবে এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। সম্প্রতি এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠারটি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মাঠপর্যায়সহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা এবং শিক্ষকরা অপরাধ করলেও তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা না নিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। ঊর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা অপরাধীদের বাঁচাতে এই কাজ করেন। ফলে প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় না।
ব্যবস্থা না নেয়ার কারণ সম্পর্কে জানা যায়, স্বজনপ্রীতি ও ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মাঠ পর্যায়ে অভিযোগের প্রতিকার পাচ্ছেন না অভিযোগকারীরা। তবে প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর অপরাধ বিচারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
এ বিষয়ে গত ১৫ জুন ডিপিইতে মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় উপ-পরিচালক, সব জেলা শিক্ষা অফিসার, সকল উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারদের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, যে নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্চারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবেন না, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও বিনানুমতিতে বিদেশগমনকারী এবং অনুমতি না নিয়ে বিদেশে গমন করে নির্ধারিত সময়ের পর বিদেশে অবস্থানকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও সরকারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/একে/আরএ
