‘সুপার নিউমারি’ পদোন্নতি চান প্রাথমিকের শিক্ষকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২১, ১৯:২২ আপডেট : ২৪ জুন ২০২১, ২০:১২
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র একজন প্রধান শিক্ষক। পদোন্নতির যোগ্যতা থাকলেও পদ সংকটের কারণে সহকারী শিক্ষকরা পদোন্নতি না পেয়েই কর্মজীবন শেষ করছেন। এবার এসব শিক্ষকরা চাকরির ৭ বছর পর সুপার নিউমারি পদোন্নতি চেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাজেশ মজুমদার বলেন, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ যারা রয়েছেন তাদের উপজেলা ভিত্তিক প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। পদ সংকট ও বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ২০০৯ সাল থেকে পদোন্নতি দেয়া বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কলেজে অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য শূন্যপদ কোন বিষয় নয়। তবে এর বিপরীতে নিয়োগ বিধিতে উল্লেখিত যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে ৭ বছর পর সুপার নিউমারি পদোন্নতি দেয়া উচিত।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সারাদেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৫২ হাজারের অধিক সহকারী শিক্ষক কর্মরত আছেন। যেহেতু প্রতিটি বিদ্যালয়ে একটি মাত্র প্রধান শিক্ষক পদ তাই পদ্দোন্নতির যোগ্যতা থাকলেও পদ স্বল্পতার কারণে সহকারী শিক্ষকরা পদোন্নতি না পেয়ে সমগ্র কর্মজীবন একই পদে কর্মরত থাকেন।
তাছাড়া প্রধান শিক্ষক পদেও পদোন্নতি নেই। ফলে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরতদের অবসর গ্রহণ ছাড়া পদ শূন্য হয় না বিধায় প্রধান শিক্ষক পদ থেকে পদোন্নতি যোগ্য পদের সংখ্যা আরো কম। তাই সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি সমস্যার সমাধানে সুপার নিউমারি পদোন্নতি একমাত্র কার্যকরী সমাধান।
বাংলাদেশ জার্নাল/একে/ওয়াইএ
