ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিক্ষামন্ত্রীর পরিকল্পনা ‘মন্দের ভালো’

  আসিফ কাজল

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২১, ১৮:৩৫  
আপডেট :
 ১৫ জুলাই ২০২১, ২০:২৭

শিক্ষামন্ত্রীর পরিকল্পনা ‘মন্দের ভালো’
ফাইল ছবি

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সময়, বিষয় ও নম্বর কমিয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, পরীক্ষার আগে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে এসএসসিতে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর প্রতি সপ্তাহে দুটি করে ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট এবং এইচএসসিতে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে- ৬টি পত্রে- প্রতি পত্রে ৫টি করে মোট ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট নেওয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রীর এই রূপরেখাকে ‘মন্দের ভালো’ বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক শেখ একরামুল কবির। তিনি বলেন, যদি একেবারে পরীক্ষা না হয় অটোপাস হয়ে যায় তাহলে তো কিছুই হতো না। মানে কোনো মূল্যায়নই হতো না। এখন হয়তো কিছুটা হবে। এটা যে ফ্রুটফুল হবে তা কিন্তু না। বলা যায় এটা মন্দের ভালো।

অ্যাসাইনমেন্ট হাতে লিখে না ফটোকপি- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসে যেটুকু বাকি ছিলো আজকের মধ্য দিয়ে কফিনের শেষ পেরেক লাগানো হয়েছে। এটা এখন এমন যে গাছে আম না পাকিয়ে কাঁচা থাকতে টিনের চালে রোদে পাকানো হচ্ছে। নেহাল করিম বলেন, অ্যাসাইনমেন্ট হাতে লিখে জমা না দিলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন বরবাদ হয়ে যাবে। কোনোভাবেই যেনো ফটোকপি করে না দেওয়া হয় এ বিষয়টি দেখভালের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি আহবান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী শুধুমাত্র পরিকল্পনার বিষয়টি তার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেছেন। অ্যাসাইনমেন্ট এর নির্দেশনা যাবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)থেকে। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ও মাউশি কাজ করছে। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে যথাক্রমে ৬০ দিন এবং ৮৪ দিন শ্রেণি কার্যক্রম শেষ করে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু করোনার বর্তমান মহামারির বিবেচনায় গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। এর মধ্যে এসএসসি ও সমমানের অ্যাসাইনমেন্ট ১৮ জুলাই থেকে দেওয়া শুরু হবে। ১২টি সপ্তাহে মোট ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। এ ছাড়া এইচএসসি ও সমমানের অ্যাসাইনমেন্ট ২৬ জুলাই শুরু হবে। ওই স্তরের শিক্ষার্থীদের ১৫ সপ্তাহে মোট ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে।

যা বলছে এনসিটিবি: অ্যাসাইনমেন্ট বিষয়ে কাজ শুরু করবে জাতীয় কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ১৫,১৬,১৭ তিন দিন ওয়ার্কশপের মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করা হবে। ১৮ তারিখ শিক্ষা বোর্ড ও মাউশিতে এটা আমরা পৌঁছে দিব। ওয়ার্কশপে শ্রেণি শিক্ষক, কারিকুলাম বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমেই অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করা হবে। অ্যাসাইনমেন্ট থেকে শিক্ষার্থীরা কতটুকু উপকৃত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই শিক্ষার্থীরা শিখতে পারবে। যে প্যাটার্নে আমরা করবো তাতে বিষয় বস্তুর সঙ্গে শিখনফল একেবারেই সম্পৃক্ত। এইচএসসি বা সমমানের বিষয়ে তিনি জানান, ২৫ জুলাই এর মধ্যে এইচএসসির কারিকুলাম একইভাবে প্রস্তত করা হবে।

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম আরো কিছুদিন দেরিতে শুরু হতে পারে।

একে/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত