ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবি

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৪৯

নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবি
ছবি: প্রতিনিধি

জাতীয় শিক্ষানীতি, টেকসই উন্নয়নসহ (এসডিজি) বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে দেশের প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাক্রমে বড় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন এ শিক্ষাক্রমে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পাল্টে যাবে শিক্ষাক্রম। বিষয় ও পরীক্ষা কমিয়ে বইয়ে আনা হচ্ছে পরিবর্তন। তবে নতুন এ শিক্ষাক্রম প্রত্যাখ্যান করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

রোববার দুপুরে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাফেউজ্জামান ফরিদ, অর্থ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমা প্রমুখ।

সমাবেশ থেকে তারা চারটি দাবি জানান। সেগুলো হলো- শিখনকালীন মূল্যায়নের নামে শিক্ষকদের হাতে কোনো মার্কস রাখা যাবে না, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা বাতিল না করে পিইসি-জেএসসি বাতিল করা, পরপর তিনটি পাবলিক পরীক্ষা না নেয়া, বিজ্ঞান শিক্ষাকে মাধ্যমিক স্তরে বিভাগ ওঠানো যাবে না।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, যারা শিক্ষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত, তাদের কোনো ধরণের মতামত না নিয়ে এই শিক্ষাক্রম অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আমরা দেখছি একের পর এক নীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, কিন্তু এই নীতি নিয়ে মানুষের কোনো মতামত নেয়া হচ্ছে না। শিক্ষা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে শিক্ষা নিয়ে যারা কাজ করে, তাদের কোনো মতামত না নিয়েই নীতি চালু করা হচ্ছে এবং তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই নীতি চালু করার ফলাফল কী, সে ফলাফল নিয়েও কোনো আলোচনা হয় না।

তারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পথে একের পর এক নীতি তারা চালু করেছে। তারা পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা চালু করেছিল, এখন আবার তারাই বলছে ২০২৩ সাল থেকে তা থাকবে না। কেন আপনারা চালু করলেন, আর কেনই বা আবার বাতিল করছেন সে মূল্যায়ন কি আপনারা করেছেন? ২০০৯ সালে যখন চালু করা হয়েছিল আমরা বলেছিলাম, এই পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেবে, শিক্ষার মান বাড়বে না। তখন তারা শিক্ষার মান বাড়ার স্লোগান দিয়েছিল।

মাধ্যমিক স্তরে বিভাগ উঠিয়ে দেয়ার সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, এর মধ্যদিয়ে মৌলিক যে বিজ্ঞান শিক্ষা, সে বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এই শিক্ষাক্রম দিয়ে তারা যে উদ্দেশ্য সফল করতে চায়, সেটি হলো একদম টেকনিক্যালি এক্সপার্ট মানুষ তৈরি করা। তথাকথিত কারিগরি বিপ্লবের যে কথা আমরা শুনছি, সে প্রস্তাবনার নিরিখে মানবিকতা, মূল্যবোধ বিবর্জিত মানুষ তৈরি করাই এই প্রস্তাবনার মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত