ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

চাঁবিপ্রবির জমি অধিগ্রহণে আমার পরিবারের কোনো আর্থিক সম্পর্ক নেই

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:০৮  
আপডেট :
 ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ২০:০১

চাঁবিপ্রবির জমি অধিগ্রহণে আমার পরিবারের কোনো আর্থিক সম্পর্ক নেই

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে তিনি বা তার পরিবারের কারো আর্থিক কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

মন্ত্রী বলেন, জমি অধিগ্রহণের সঙ্গে আমার বা আমার পরিবারের আর্থিক কোনো সম্পর্ক নেই। একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে এই বিষয়ে আমার ভাইকে রাজনৈতিকভাবে জড়ানো হয়েছে। তবে আমি খুব স্পষ্টভাবে কিছু তথ্য জানাতে চাই সেটি হলো- চাঁদপুরে আমার ক্রয়সূত্রে কোনো জমি নেই। উত্তরাধিকার সূত্রে আমার পৈত্রিক ভিটায় কোনো জমি হইত থাকতে পারে। কিন্তু আমার কোনো জমি নেই।

তিনি বলেন, রিপোর্টে যে নাম এসেছে ডা. টিপু তিনি একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি আমার বড় ভাই। তিনি একটি হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রম করতে কিছু জমি কেনেন।

মন্ত্রী দাবি করেন, প্রকাশিত রিপোর্টে এখানে আরও কিছু মানুষকে আমার পরিবারের সদস্য বলা হয়েছে। তারা আমার রক্ত সম্পর্কীয় নয়। কিন্তু তারা আমার রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। আমি জানি না আমার রক্তের পরিবারের সদস্যরা আমার জন্য কোনো ঝুঁকি নেবেন কিনা! কিন্তু আমার রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যরা আমার জন্য ঝুঁকি নেবেন।

চাঁদপুরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের এ বিষয়ে কোনো ইন্ধন আছে কিনা এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এখনই আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। দলীয় ফোরামে আমি এটি উত্থাপন করবো। এখন আমি কিছু বলতে চাই না।

জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, জমির মূল্য নির্ধারণ করেন জেলা প্রশাসক। এখানে ৬২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ১৩ জনকে একটি কমিটি করে প্রাক্কলন করা হয়। এর বাজার মূল্য ১৯৩ কোটি টাকা। এর আগে এর প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ৫৫৩ কোটি টাকা। আমি মোটা দাগে যেটা বুঝি ১৯৩ কোটি টাকার ২০ গুন কখনোই ৫৫৩ কোটি টাকা নয়।

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এটি ভাঙ্গনপ্রবণ জায়গা। এখানে স্থাপনা টিকবে না এমন অভিযোগের বিষয়ে ছিলো। তবে চাঁদপুর শহর ভাঙ্গনের কারণে অনেক ছোট। অনেক ঘনবসতি রয়েছে। আমরা জানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো সমস্যা হলে হাইওয়ে বন্ধ হয়ে যায়। সেই বিবেচনায় আমরা জমিটি পছন্দ করি। এছাড়াও আমরা কোথায় জমি পছন্দ করছি এর সঙ্গে প্রশাসনের লোকজনও জড়িত ছিলো বলে জানান তিনি।

এসময় মন্ত্রী উল্লেখ করেন এই জমির সঙ্গে টেকসই বাঁধ রয়েছে। এছাড়াও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রও ছিলো।

চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের বিষয়েও একই সমস্যার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আসলে যখনই কোনো বড় প্রকল্প শুরু হচ্ছে তখনই এমন বাধা আসছে।

এ বিষয়ে কোনো তদন্ত করা হবে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখানে শিক্ষামন্ত্রণালয় তদন্ত করবে না। ভূমি মন্ত্রণালয় চাইলে তদন্ত করতে পারে। তবে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

ম্প্রতি চাঁবিপ্রবির জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে তিনি দাবি করেছেন, ‘ওই প্রক্রিয়ায় সরকারের প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে।’

এ নিয়ে বেশ আলোচনা তৈরি হয়েছে। পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য দিচ্ছেন অনেকে। খোদ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারাও এই আলোচনা-সমালোচনায় জড়িয়ে গেছেন। তাদের দাবি, ‘এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পরিবার ও তার ঘনিষ্ঠজনরা সম্পৃক্ত।’ যদিও জেলা প্রশাসক তার প্রতিবেদনে কারও নাম উল্লেখ করেননি।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত