ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

যৌন হয়রানির ঘটনায় সাজা পাওয়া শিক্ষকের যোগদানের খবরে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ জুন ২০২২, ১৬:১৭  
আপডেট :
 ২১ জুন ২০২২, ১৬:২১

যৌন হয়রানির ঘটনায় সাজা পাওয়া শিক্ষকের যোগদানের খবরে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
ছবি: প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের শিক্ষক আক্কাস আলীর যোগদানের খবরে আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় ক্লাস ও পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জনের ঘোষণা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার সকাল থেকে সিএসই বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষক আক্কাস আলীর যোগদানের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এ সময় বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা। স্লোগানে স্লোগানে কম্পিত হয়ে ওঠে পুরো বিভাগ। এ সময় ক্লাস ও পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জনের ঘোষণা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত সিএসই বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক রায়, আদীব মোহাইমীন ও ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, সিএসই বিভাগের শিক্ষক আক্কাস আলী দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও ভর্তি বাণিজ্যের সাথে যুক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সাড়ে তিন বছর আগে তদন্ত হয়েছিল। কিন্তু সেই তদন্ত প্রতিবেদন আজও প্রকাশিত হয়নি। আগামীতে তিনি আবার যোগদান করছেন। আমরা তার যোগদানের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বশেমুরবিপ্রবির সিএসই বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান আক্কাস আলী ওই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দুই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়াসহ যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। দুই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক আক্কাস আলীর শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. আব্দুর রহিম খানকে সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ড. মো. বশির উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান আক্কাস আলীকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে আজীবনের জন্য অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

সেইসাথে জানুয়ারি-জুন ২০১৯ থেকে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত মোট ৮ সেমিস্টারের জন্য সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে আক্কাস আলী ও তদন্তকারী দলের প্রধান অধ্যাপক মো: আব্দুর রহিম খানের ফোনালাপ ফাঁস হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হন তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত