ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের উত্তেজনা: অনির্দিষ্টকালের জন্য কুবির হল বন্ধ, পরীক্ষা স্থগিত

  কুবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২২, ২০:০৭  
আপডেট :
 ০২ অক্টোবর ২০২২, ২০:১৬

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের উত্তেজনা: অনির্দিষ্টকালের জন্য কুবির হল বন্ধ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ফাইল ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে অনাকাঙ্খিত ঘটনা রোধ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আবাসিক হলসমূহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার এক অনলাইন সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহ বন্ধ থাকবে। ছাত্র হলসমূহে অবস্থানকারী ছাত্রদের আজ সন্ধ্যা ৬টা এবং ছাত্রী হলসমূহে অবস্থানকারী ছাত্রীদের আগামীকাল (সোমবার) ৯টার মধ্যে হল ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়া আগামী ১০ অক্টোবর থেকে থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষাসমূহ স্থগিত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিজস্ব পরিবহন ব্যতীত সকল ধরনের পরিবহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ বন্ধ থাকবে।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত কুবি: ফাঁকা গুলি-ককটেল বিস্ফোরণ, সংঘাতের শঙ্কা

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কুবি ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি করা হয়। তবে শুরু থেকে কমিটি বিলুপ্তের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপ। সভাপতির পক্ষ থেকে কমিটি বিলুপ্তের কথা বলা হলেও সাধারণ সম্পাদক বলছেন কমিটি বিলুপ্ত করা হয়নি।

আরও পড়ুন: কুবি কমিটি বিলুপ্তি নিয়ে মতানৈক্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ

এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। গতকাল শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ অর্ধশত মোটরসাইকেল নিয়ে দেড় শতাধিক নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং বঙ্গবন্ধু হলে প্রবেশ করে। এ সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এক পর্যায়ে তারা হলের নিচে থাকা সাইকেল ভাঙচুর করেন। প্রায় ২০ মিনিট ক্যাম্পাসে অবস্থান করার পর ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দীকী ও হল প্রভোস্টরা এসে তাদের সরিয়ে নেন। এরপর আরেকটি গ্রুপ তাদেরকে প্রতিহত করতে গেলে তারা ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। এ সময় তাদের হাতে রামদা, হকস্টিক ও লাঠিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত