ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

এনএসইউতে ‘ড. আকবর আলী খান: বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সমাজে তার অবদান’ শীর্ষক ওয়েবিনার

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২২, ১৭:৩২

এনএসইউতে ‘ড. আকবর আলী খান: বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সমাজে তার অবদান’ শীর্ষক ওয়েবিনার
সংগৃহীত ছবি

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ড. আকবর আলী খান: বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সমাজে তার অবদান’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনার সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। এটি আয়োজন করে সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) এবং সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সানপা)।

ড. আকবর আলী খান ছিলেন সবচেয়ে প্রভাবশালী শিক্ষাবিদ, গবেষক, বুদ্ধিজীবী এবং প্রখ্যাত আমলা- যিনি বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ সচিবও ছিলেন। তিনি তার কর্মজীবনে একাধিক দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন। তিনি ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করেন।

ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারীরা একমত পোষণ করেন যে তার মৃত্যু দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গনে একটি উল্লেখযোগ্য শূন্যতা তৈরি করেছে।

ওয়েবিনারের বিশিষ্ট আলোচকবৃন্দ ছিলেন; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, বিআইজিএমের পরিচালক এবং সাবেক অর্থসচিব ড. মোহাম্মদ তারেক, সাবেক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ওয়েবিনারে বক্তব্য দেন।

সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (এসআইপিজি) উপদেষ্টা অধ্যাপক সালাহউদ্দিন এম আমিনুজ্জামান। ওয়েবিনারে দেশ-বিদেশ থেকে শিক্ষাবিদ, গবেষক, সরকারি কর্মচারী, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আবদুল মুঈদ চৌধুরী বলেন যে ড. খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে তার সহপাঠী ছিলেন এবং ছাত্রজীবন থেকেই তার জ্ঞানের প্রতি অপার তৃষ্ণা ছিল। ড. খান একজন সুপরিচিত সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। কিন্তু অবসর গ্রহণের পর তার খ্যাতি আরও শীর্ষে উঠেছিল। সরকারী নীতির পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং নিরপেক্ষ বিশ্লেষণের জন্য তিনি শুধুমাত্র বিদ্বানদের কাছ থেকে নয়, দেশের জনগণের কাছ থেকেও সম্মান অর্জন করেছিলেন।

বিআইজিএমের পরিচালক এবং প্রাক্তন অর্থসচিব ড. মোহাম্মদ তারেক মনে রেখেছেন যে কীভাবে তাকে ড. খান একজন জুনিয়র সহকর্মী হিসাবে পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং সাহসী সিদ্ধান্ত নেয়ার চিন্তা করার দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন।

সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, একজন মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা, লেখক এবং অর্থনৈতিক চিন্তাবিদ হিসাবে ড. খানের কৃতিত্ব তুলে ধরেন। তিনি মন্তব্য করেন ড. খান একজন উন্নয়ন যোদ্ধা এবং একজন নীতিনির্ধারক ছিলেন। যার অবদান এবং নৈতিক বিষয়ে অবস্থান বর্তমান এবং ভবিষ্যতের বেসামরিক কর্মচারীদের অনুপ্রাণিত করবে।

কর্মজীবনের স্মৃতিচারণা করে সাবেক অতিরিক্ত সচিব আফতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে রাগারাগি করতেন। কিন্তু আকবর আলি খান কখনো উচ্চবাচ্য করেননি। কোনো কিছু সংশোধনের প্রয়োজন হলে তিনি নিজেই করে দিতেন। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণার প্রতীক।

সানপার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড. হাবিব জাফরুল্লাহ, বলেছেন যে তিনি বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রক শাসনের পথপ্রদর্শক। তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে তার পদত্যাগ ছিল একটি সাহসী পদক্ষেপ। তার অবসর-পরবর্তী বছরগুলো ফলপ্রসূ ছিল।লিখেছিলেন।

ওয়েবিনারটি এসআইপিজির উপর একটি ভিডিও উপস্থাপনার মাধ্যমে শুরু হয় এবং ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মহাসচিব, সানপা এবং উপ-সচিব, পরিকল্পনা কমিশন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়-এর ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত