দেখে দেখে সেই টিউশন করিয়েছি যা জুডিশিয়ারির কাজে লাগবে
কুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৩৭
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাফসীর হোসেন ১৫তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় ১১তম হয়ে সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
তাফসীরের বাড়ি কুমিল্লার লালমাই উপাজেলায়। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তিনি ছোট শরীফপুর উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি এবং ছোট শরীফ পুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। মা একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন এবং বাবা পেশায় কৃষক। ২০১৮ সালের আগস্টে মা মৃত্যুবরণ করেন। মায়ের অনুপস্থিতিতে আমার বড় বোনের অনুপ্রেরণায় তিনি এগিয়ে যান। নিজেই পরিবারের প্রধান হয়ে পুরো পরিবারের হাল ধরেন। নানান সংগ্রাম এবং চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিন কেটেছে তাফসীরের।
পিছিয়ে পড়াকেই জীবনের মূল অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছেন তিনি। বার বার সফলতার দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ছলছল চোখে ফিরে আসাকেই এগিয়ে চলার শক্তি হিসেবে নিয়েছেন তিনি। মেডিকেল এক্সামের একেবারে দ্বারপ্রান্তে গিয়ে হেরে যাওয়ার পর জীবনের মোড় ঘুরে গেছে তার।
সফলতার জন্য টিউশনকেই পাথেয় হিসেবে নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, প্রচুর পরিমাণ টিউশন করেছি এবং কোচিংয়ে সময় দিয়েছি। আমার টিউশন করানোর ধরণ ছিল আলাদা। আমি টিউশনের পুরো সময়টাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। দেখে দেখে সেই টিউশন-ই করিয়েছি, যেগুলো আমার জুডিশিয়ারির কাজে লাগবে। সেজন্য জুডিশিয়ারির এক্সামের জন্য আমাকে এক দিনের জন্যেও গণিত এবং বিজ্ঞানের প্রিপারেশন নেয়া লাগেনি। যতক্ষণ পড়েয়েছি ভালোভাবে পড়ানোর চেষ্টা করেছি এবং নিজের ব্যাসিক ক্লিয়ার করার দিকে নজর দিয়েছি।
জুনিয়রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মানুষ হারতে হারতেও জিতে যায় যদি সে লেগে থাকে। মানুষ জিততে গিয়েও হেরে যায়, যদি সে হাল ছেড়ে দেয়। জীবনে সফলতার একটাই সূত্র, আর সেটা হলো পরিশ্রম। সফলতার জন্যে মাত্র তিনটা জিনিস প্রয়োজন। ১. ধৈর্য ২. অধ্যবসায় এবং ৩. আত্মোৎসর্গ। এগুলো যদি কারো মধ্যে থাকে সে সফল হবেই।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি
