ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণ: ফেল থেকে পাস ৩৯৯ শিক্ষার্থী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৩, ১৭:৫২  
আপডেট :
 ১০ মার্চ ২০২৩, ১৮:১১

এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণ: ফেল থেকে পাস ৩৯৯ শিক্ষার্থী
এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ । ছবি: সংগৃহীত

দেশের ৯টি শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফলে বিভিন্ন গ্রেডে ২ হাজার ৮৩৫ জন শিক্ষার্থীর রেজাল্ট পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ফেল থেকে নতুন করে পাস করেছেন ৩৯৯ জন শিক্ষার্থী। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩১৫ জন শিক্ষার্থী। ফেল থেকে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন একজন। তবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফল এখনো বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়নি।

শুক্রবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ৯টি বোর্ডের প্রকাশিত পুনর্নিরীক্ষণের ফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।

কোন বোর্ডে কতজনের ফলাফল পরিবর্তন

ঢাকা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণে ৯১৩ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এতে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৩৪ জন। আর ফেল থেকে পাস করেছেন ১৪৫ জন পরীক্ষার্থী। ফলাফলে সন্তুষ্ট না হয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে খাতা চ্যালেঞ্জ আবেদন করেন ৩১ হাজার ৫৭৪ শিক্ষার্থী। তারা এক লাখ চার হাজার ৬৬৫টি ‘স্ক্রিপ্ট’ বা বিষয়ের খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেন।

চট্টগ্রাম বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছেন ৭৪ জন শিক্ষার্থী। আর নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৫ জন পরীক্ষার্থী।

এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণে সিলেট বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছেন ১৯ জন শিক্ষার্থী। আর নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১ জন পরীক্ষার্থী।

পুনর্নিরীক্ষণের ফলে রাজশাহী বোর্ড ফেল থেকে পাস করেছেন ২৪ জন শিক্ষার্থী। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৫ জন শিক্ষার্থী। রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, এই শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন পড়েছিল ৪২ হাজার ৭৪৬টি। মোট ১৩ হাজার ৯১৪ জন শিক্ষার্থী পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করে। এতে ফল পরিবর্তন হয়েছে ৮৬ জন শিক্ষার্থীর।

দিনাজপুর বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণে ১৬৬ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এতে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৯ জন। আর ফেল থেকে পাস করেছেন ৬৪ জন পরীক্ষার্থী।

যশোর বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণে ৯৩ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এতে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৫ জন। আর ফেল থেকে পাস করেছেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী।

কুমিল্লা বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছেন ৪৪ জন শিক্ষার্থী। আর নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩২ জন পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে একজন পরীক্ষার্থী ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

খাতা পুনর্নিরীক্ষণে ময়মনসিংহ বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছেন ৭ জন শিক্ষার্থী। আর নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০ জন পরীক্ষার্থী।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণে ফল পরিবর্তন হয়েছে ৪৯ জন শিক্ষার্থী। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০ জন পরীক্ষার্থী। আর ফেল থেকে পাস করেছেন ১৫ জন শিক্ষার্থী।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার পর এবার বেশি বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। সংগত কারণে এবার পুনর্নিরীক্ষণে আবেদন বেশি পড়েছে। এটাতে অস্বাভাবিক কিছু দেখছি না। তবে অন্য বছরের তুলনায় যদি বেশি হয় তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিগত বছরের মতো এবারও এতো বিপুলসংখ্যক পরীক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তনের পেছনে পরীক্ষকদের গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করছেন বোর্ড কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুনর্নিরীক্ষণে নতুন করে কোনো উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয় না। শুধু উত্তরপত্রে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের যোগ-বিয়োগগুলো দেখা হয়। এতেই এতো সংখ্যক শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এটা শুধু পরীক্ষকদের গাফিলতির কারণে হয়।

আন্তঃবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাশার বলেন, পুনর্নিরীক্ষণে ফল পরিবর্তন স্বাভাবিক ঘটনা। এই সংখ্যাটি যদি নির্দিষ্ট পার্সেন্টের বাইরে চলে যায় তবে পরীক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত করি। সব বোর্ডের তথ্য সংগ্রহ করে যদি নির্দিষ্ট পার্সেন্টের বাইরে যায় তবে চিহ্নিত পরীক্ষকদের বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত