ইবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বাস ড্রাইভারকে মারধরের অভিযোগ
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩, ২৩:৩৪ আপডেট : ৩১ মে ২০২৩, ২৩:৩৯

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বনি আমিনের বিরুদ্ধে বাস ড্রাইভারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ড্রাইভার তোজাম্মেল হোসেন সবুজ।
|আরও খবর
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরিনকে আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি ইনচার্জ আবদুস সালাম সেলিমকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাস ড্রাইভার তোজাম্মেল হোসেন সবুজ বলেন, আমি কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস থেকে বাস ছেড়ে বটতৌলে আসি। এসময় ২-৩ জন মেয়ে বাসে উঠে। ওই মেয়েদেরকে বসতে দেয়ার জন্য ওই ছেলেকে (বনি আমিন) জিজ্ঞেস করি আপনি কোথায় যাবেন? সে ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে। এসময় আমি তাকে মেয়েদের জন্য সিট ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করি। এরপর ঐ ছেলে আমাকে ধমক দিয়ে বলে আমি সিট ছাড়বোনা। তখন আমি তাকে বলি সিট ছাড়বেন না ঠিক আছে তাই বলে এরকম ব্যবহার করাটা ঠিক হল না। এরপর ওই ছেলে ক্যাম্পাসের সামনে নামার সময় কার সাথে যেন ফোনে কথা বলছিলো। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে বেশ কয়েকজন লাঠিসোটা, রড, চাপাতির ন্যায় কিছু দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর আক্রমন করে। এর ফলে আমি হাতে গুরুতর আঘাত পাই। পরে আমার বন্ধুদের সাথে কথা বলে, পুলিশের সাথে কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।
আরও পড়ুন: আগামী বছরেও ৬ মাস বন্ধ থাকবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্রলীগের সহ সভাপতি বনি আমিন বলেন, আমি কুষ্টিয়া শহর থেকে বাসে উঠে ক্যাম্পাসে আসছিলাম। পথিমধ্যে বাস ড্রাইভার আমাকে সিট ছেড়ে দিতে বলে। তখন তাকে বলি, আমি বাসে টিকেট কেটে উঠেছি সিট ছেড়ে দেয়ার জন্য নয়৷ তাছাড়া আপনি সিট দিতে পারবেন না অথচ বাসে এতো মানুষ উঠাচ্ছেন এটা তো ঠিক নয়। তখন সে আমার সাথে বাজে ব্যবহার করে। ফলে ক্যাম্পাস গেটে নামার সময় তাকে নিচে ডেকে বলি আপনি যে সিট নিয়ে আমার সাথে বাজে ব্যবহার করলেন এটা কি ঠিক হয়েছে। তখন এক পর্যায়ে তার সাথে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। পরে কথা-কাটাকাটির জের ধরে হালকা হাতাহাতি হয়েছে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সাথে।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমরা ঘটনাটির লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই