ঢাকা, রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ পেছালো

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৫৭  
আপডেট :
 ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:২৮

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ পেছালো
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৮ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের প্রথম পর্বের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় জানানো হয় ৮ ডিসেম্বর প্রথম পর্বের রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮টি জেলার ৫৩৫টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে ১ ঘণ্টার এ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পর্বের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে অনুযায়ী প্রথম ধাপে পরীক্ষা প্রথমে ২৪ নভেম্বর ও পরে ১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে তা পিছিয়ে দেয়া হলো।

এর আগে প্রথমে ২৪ নভেম্বর এবং পরে ১ ডিসেম্বর নেওয়ার কথা ছিল এ নিয়োগ পরীক্ষা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর, সিলেট এবং বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অধিদপ্তর। এরপর ২২ মার্চ রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তারপর ১৭ জুন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। বর্তমানে প্রায় ৮ হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে।

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জট কমাতে বিভাগগুলোকে ক্লাস্টারে ভাগ করে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় চার লাখ চার হাজার সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। প্রতিবছর প্রায় ছয় হাজারের কাছাকাছি শিক্ষক অবসরে যান। ২০২০ সালের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২০২২ সালে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগ দিতে দুই বছর সময় লেগেছে। ক্লাস্টার বা বিভাগভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারলে ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া যাবে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত