ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিক্ষায় বাজেটের ২০ ভাগ বরাদ্দের দাবি কোটা আন্দোলনকারীদের

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:০৪  
আপডেট :
 ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:৪৫

শিক্ষায় বাজেটের ২০ ভাগ বরাদ্দের দাবি কোটা আন্দোলনকারীদের

বিসিএস পরীক্ষায় মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ এবং শিক্ষায় জিডিপির ৫ ভাগ বা জাতীয় বার্ষিক বাজেটের ২০ ভাগ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। একই সঙ্গে তারা নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার নম্বরসহ ফল প্রকাশের দাবিও জানান। পাশাপাশি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ১০ দিন ও লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা- ২০১৮’ প্রকাশ করে এসব দাবি জানায় বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য দেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর। এতে ইশতেহার ভাবনা তুলে ধরেন আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। ইশতেহারটি পড়ে শোনান যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন। সমাপনী বক্তব্য দেন আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন। এ সময় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা, মো. আতাউল্লাহ, রাতুল সরকার, জসিম উদ্দিন আকাশসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ঘোষিত ইশতেহারে তারা বেকারত্ব নিরসনে কর্মসংস্থান, চাকরির স্বচ্ছ নিয়োগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও গবেষণা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক, যুব অ্যাসেম্বলি ইত্যাদি পয়েন্টে জোর দেন।

তাদের ইশতেহারে উল্লেখযোগ্য দাবির মধ্যে রয়েছে- যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মের নিশ্চয়তা প্রদান করা; প্রশাসনিক কাজের ভোগান্তি কমাতে ‘ওয়ান ডেস্ক সার্ভিস’ চালু করা’; ‘কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ স্থাপন করা; তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার আনা ও সকলের জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা; চাকরির আবেদনের ফি সম্পূর্ণ ফ্রি করে দেয়া; নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশ করা; ‘বেসরকারি চাকরি আইন’ প্রণয়ণের উদ্যোগ গ্রহণ করা; শিক্ষায় জিডিপির ৬ ভাগ বা জাতীয় বার্ষিক বাজেটের ২০ ভাগ বরাদ্দ দেয়া; বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা; ‘প্রশ্নফাঁস বিরোধী সেল’ গঠন করা; সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ করা; প্রতিবছর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসন সমস্যা নিরসন করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেটের ১০ ভাগ গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখা (যার ৬ ভাগ শিক্ষকদের জন্য এবং ৪ ভাগ হবে ছাত্রদের জন্য); শিক্ষাঙ্গনগুলোর নিরাপত্তার জন্য ‘বিশেষ নিরাপত্তা সেল’ গঠন করা; উন্নত বিশ্বের ন্যায় প্রতিবছর ‘যুব অ্যাসেম্বলি’ এর আয়োজন করা; সাংবিধানিক অধিকারে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ না করা; অগণতান্ত্রিক কালাকানুন অতিসত্ত্বর বাতিল করা; প্রতিটি নাগরিকের জন্য ‘স্বাস্থ্য বীমা’ নীতি গ্রহণ করা; ধর্ষকদের বিচার ‘দ্রুত বিচার আইনে’ নিষ্পত্তি করা; দুর্নীতির পথ রুদ্ধ করা ইত্যাদি।

আয়োজকরা জানান, ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বেকারমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ, শোষণ-বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজের দাবির আলোকে সকল রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যেই এ ইশতেহার ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত