'গণতন্ত্র ও সুশাসন বিকাশে তিন বিভাগের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক অপরিহার্য'
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:১৭
দেশের উন্নয়নের সামগ্রিক ধারাকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের গুরুত্ব অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, এই তিন বিভাগের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গণতন্ত্র ও সুশাসন বিকাশে অপরিহার্য।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আইন সমিতির ৩৩তম বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি এডভোকেট মো. কামরুজ্জামান আনসারীর সভাপতিত্বে এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, প্রধান বিচারপতির স্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের প্রাক্তর ছাত্রী সামিনা খালেক, সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন সম্মেলন প্রস্ততি কমিটি-২০১৮ এর আহ্বায়ক মোল্লা মো. আবু কাওছার।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারক ও আইনজীবীরা হলেন সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তাই আইন পেশা আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত পেশা। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচারক, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের সুষ্ঠু চর্চা, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিচারবিভাগের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিচার বিভাগের দক্ষতা হচ্ছে একটি দেশের সাফল্যের মাপকাঠি।
বাংলাদেশ আইন সামিতি বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মানব-উন্নয়নসহ দরিদ্র ও সহায়-সম্বলহীন জনগণকে আইনি সেবা প্রদানে নিরন্তর প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাই এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশেষ গৌরবের দাবিদার। গণতন্ত্র সম্প্রসারণে আইন বিভাগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। তিনি বলেন, যারা আইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা গণতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করতে কাজ করেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএম
