ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিক্ষকরা টাইম স্কেল পাবেন

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৫১

শিক্ষকরা টাইম স্কেল পাবেন

শিক্ষকরা শিগগিরই টাইম স্কেল পাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) ড. মো. আবদুল মান্না‌ন। একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।

টাইম স্কেল প্রসঙ্গে আবদুল মান্নান বলেন, ‘শিক্ষকরা টাইম স্কেল পাবেন। যারা একটি স্কেলে ১০ বছর পর্যন্ত চাকরি করেছে, তারা ১টি টাইম স্কেল পাবে। ২য় ৬ বছরের জন্য তারা আরেকটা টাইম স্কেল পাবে। অর্থাৎ একজন শিক্ষক ২টি টাইম স্কেল বা উচ্চতর গ্রেড পাবেন।

এমপিও নীতিমালার বিষয়ে আবদুল মান্না‌ন বলেন, ‘এমপিও নীতিমালা নিয়ে একটা মিটিং হয়েছে। তবে মিটিংটা শেষ করা যায়নি। কারণ নতুন মন্ত্রী মহোদয় আসছেন, তাই মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখানে দুটি বিষয় ছিল। সারাদেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রিন্সিপল, ভাইস-প্রিন্সিপল নিয়োগ স্থগিতের বিষয়টিও ছিল।’ কিন্তু কোথাও কোথাও প্রিন্সিপল নিয়োগ দিচ্ছে বা বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ‘এই নিয়োগটা কার্যকর হবে না, এটা বৈধ না। কারণ নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। যে যোগ্যতা মেনশন করা হয়েছে, তা হোমোজেনাস না। ফলে আমরা এটা সংশোধন করবো। আজকের মিটিংয়ে প্রস্তাবটা উঠেছিল, কিন্তু শেষ করা যায়নি।’

উল্লেখ্য সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন স্কেল ঘোষণা করা হয় ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর। ১ জুলাই থেকে অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকর করা হয়। পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবীদের তিনটি সুবিধা- টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও ইনক্রিমেন্ট/বর্ধিত বেতন (যে তারিখে যোগদান) পদ্ধতি বাতিল করা হয়।

কিন্তু সহস্রাধিক সহকারী শিক্ষক টাইমস্কেল পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন ২০১৩/২০১৪ সালে। এই হিসেবে এসব শিক্ষক এক/দুইবছর আগেই টাইম স্কেল সুবিধা পাওয়ার কথা। কিন্তু দুই মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তহীনতা, সমন্বয়হীনতা ও ক্ষেত্রবিশেষ গাফিলতির কারণে হাইস্কুলের শিক্ষকরা এই আর্থিক ও মর্যাদার সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ২০১২ সালের সরকার এক গেজেট জারি করে সহকারী শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদ মর্যাদা দেয় এবং পদ অনুযায়ী তাদের দুটি টাইমস্কেল ও একটি সিলেকশন গ্রেড পাওয়ার কথা। কিন্তু ২০১৫ সালের পে-স্কেল আদেশ অনুযায়ী সিলেকশন গ্রেডও টাইমস্কেল বিলুপ্ত করা হয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মাধ্যমিক প্রফেসর ড. মো. আবদুল মান্নান বলেন, আমি মনে করি জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণার আগের প্রাপ্ত টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড শিক্ষকরা পাবার অধিকার রাখে। শিক্ষামন্ত্রণালয়ও এ ব্যাপারে আন্তরিক। অর্থমন্ত্রণালয়ে এ বিষয়টি আটকে আছে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত