ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছাত্রদলের নিয়মিতরা আসলে আপত্তি নেই ছাত্রলীগের

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৩০

ছাত্রদলের নিয়মিতরা আসলে আপত্তি নেই ছাত্রলীগের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নিয়মিত ছাত্ররা ক্যাম্পাসে আসলে ছাত্রলীগের কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের যারা নিয়মিত ছাত্র, তাদের তালিকা হলের প্রাধ্যক্ষদের কাছে দিলে তারা বিষয়টি দেখবেন। এ বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’

সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন অধ্যাপক আবদুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন এবং নির্বাচনের আচরণবিধির বিষয়ে আয়োজিত পরিবেশ পরিষদের এক আলোচনা সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

হলের বাহিরে ভোট কেন্দ্র করার দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সবগুলো নির্বাচন সুস্থ হয়েছে। তবে, ডাকসু নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, ছাত্রদলসহ সকল ছাত্র সংগঠনের পক্ষে থেকে মধুর ক্যান্টিন, আবাসিক হলগুলোতে সহাবস্থানের দাবি করা হয়েছে। ভোটার এবং প্রার্থীতার ক্ষেত্রে যারা ডাকসুর ফি প্রদান করে সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। এখানে কোন প্রতিবন্ধকতা করা যাবে না। ভোট কেন্দ্র একাডেমিক ভবনে স্থানান্তরের জন্য গঠনতন্ত্র সংশোধনের দাবি জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও বিশ্বাসযোগ্য করার দাবি জানানো হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ নেতারা আমাদের নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে আসলে বিভিন্নসময় মারধর করে। এসময় তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করেন। তিনি ডাকসুর সভাপতির (উপাচার্য) ক্ষমতার ভারসাম্য আনা এবং ক্ষমতার বিকেন্দ্রীয় করার দাবিও জানান। এসময় সহাবস্থান নিশ্চিত হলে ছাত্রদল নিয়মিত মধুর ক্যান্টিনে যাবে বলে ঘোষণা দেন আকরামুল হাসান।

ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য গঠিত কমিটি গঠনতন্ত্রের সংশোধনের যে সুপারিশে করেছে তাতে বলা হয়েছে যারা শুধু অনার্স এবং মাস্টার্স করছে এবং যারা নিয়মিত তারাই শুধু ডাকসুর সদস্য এবং প্রার্থী হতে পারবেন।

ডাকসু নির্বাচনী আচরণ বিধির বিষয়ে ছাত্রদল এবং বাম সংগঠনগুলো যে প্রস্তাব রেখেছে তা হল- নির্বাচনী পোস্টারের সংখ্যা লিমিট করতে হবে। একমাত্র গোপন কক্ষ বাদে বাকী সব জায়গায় সিসি ক্যামরা আওতায় নিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি হলে প্যানেল পরিষদের পরিচিতি সভা করতে হবে। বাইক শোডাউন দেওয়া যাবে না।

বৈঠকের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘দুটো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। একটা গঠনতন্ত্র ও আরেকটি আচরণ বিধি নিয়ে। গঠনতন্ত্র নিয়ে যে সুপারিশ করা হয়েছে তা সিন্ডিকেট সভায় ওঠবে। সেখানে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত