ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

জবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অবরুদ্ধ

  জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:০১

জবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অবরুদ্ধ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদে আড়াই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির শাতাধিক নেতা কর্মী। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় বসন্ত বরণ অনুষ্ঠানে ভাটা পড়ে এবং উত্তাল হয়ে উঠে বসন্তে সাজানো জবি ক্যাম্পাস।

বুধবার জবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বেশ কিছু কর্মীসহ শোডাউন দিয়ে ক্যাম্পাসের ছাত্র সংসদ কক্ষে অবস্থান নিলে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তারা। এসময় অবকাশ ভবনের মুল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করেন বিদ্রোহীরা।

জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের সংর্ঘে কমিটির সকল কার্যক্রম স্থগিত করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিতের পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে কোন নির্দেশনা আসার আগেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে শোডাউন এবং ছাত্র সংসদ কক্ষের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চেয়ারে বসায় বিক্ষোভ করেন বিদ্রোহীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদ ও কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান পুলিশ বাহিনীকে সাথে নিয়ে তালা ভেঙ্গে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকে উদ্ধার করে।

এসময় বিদ্রোহী ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা ‘তরিকুল-রাসেল কমিটি মানি না’, ‘ইয়াবা ব্যবসায়ী কমিটি মানি না’ ‘বিবাহিত কমিটি মানি না’ ‘চাঁদাবাজের কমিটি মানি না’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের অনুরোধে বিদ্রোহীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে দিলে ক্যাম্পাস থেকে বেড়িয়ে যায় তরিকুল-রাসেল।

এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বলেন, এই কমিটি গঠনের পর থেকেই মারামারি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ এ কমিটি পূর্ণ বহাল হলে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। ছাত্রলীগের ঐতিহ্য রক্ষায় আমারা প্রতিবাদে নেমেছি।

জবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসেন মোবারক রিসাত বলেন, মেয়াদ পার হয়ে গেলেও তারা এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি। কিন্তু ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের সংখ্যা অগনিত। এটা তাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।

এছাড়াও বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দেন সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম ফরাজী, সৈয়দ শাকিল, আকিব বীন বারী, নুরুল আফসার, আকতার হোসেনসহ আরো অনেকেই।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ও তরিকুল-রাসেল কমিটির বিভিন্ন অপকর্ম তদন্তের দ্বায়িত্বে থাকা আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমারা তরিকুল-রাসেলকে ক্যাম্পাসে সাংগঠনিকভাবে যাবার মত এমন কোন কথা এখনো বলিনি। আমাদের তদন্তের কাজ চলছে। আমরা আজকের ঘটনাটি নিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত