ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডাকসু নির্বাচন

‘জয়ের সম্ভাবনা না দেখলে বানচালের সম্ভাবনা আছে’

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:১৭  
আপডেট :
 ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:২০

‘জয়ের সম্ভাবনা না দেখলে বানচালের সম্ভাবনা আছে’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা না দেখলে একটি পক্ষ নির্বাচন বানচাল করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক জিএস এবং জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. মুশতাক হোসেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কাজী আরেফ আহমেদের স্মরণে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল। সংগঠনের সভাপতি মো. শাহজাহান আলী সাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- সংগঠনটির সাবেক সভাপতি করিম সিকদার, সাবেক ছাত্রনেতা মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু, সাবেক সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম রুবেল প্রমূখ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিসিএলের সাধারণ সম্পাদক গৌতম শীল।

ডা. মুশতাক বলেন, নব্বই দশকের পরে ডাকসুর যে কয়টি নির্বাচন বানচাল হয়েছে, যারা দেখেছে নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না তারাই কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে ইট মেরে নির্বাচন বানচাল করেছে। একি দলের মধ্যে আছে- যারা মনে করছে আমি তো এবার ভিপি-জিএস হতে পারব না। ভিপি হবে অমুক, নির্বাচন হয়ে লাভ কি? যারা এমন আশঙ্কা করছে তারাই নির্বাচন বানচালের জন্য গোলযোগ সৃষ্টি করবে। গোলাগুলি করে নির্বাচন বানচাল করবে। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানীতে যাবার আগে বলেছেন জাতীয় নির্বাচনে আমাদের সরকার জয়লাভ করেছে, ডাকসু নির্বাচনে যদি অন্য কোনো সংগঠন জয়লাভ করে এতে আমাদের সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু প্রশাসন, আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের একটি অতি উৎসাহী অংশ যদি গোলোযোগ করে ডাকসু নির্বাচন বানচাল করে তবে দোষ কিন্তু শেখ হাসিনার উপরেই পড়বে। যারা গত বছরের ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগের রাতে ভোট বক্সে সিল মেরে রেখেছিল দোষটা পড়েছে শেখ হাসিনার উপর। তাই ডাকসু নির্বাচনেও যদি কেউ অবাধ ভোট করতে না দেন তবে দোষটা পড়বে শেখ হাসিনার ওপরে। শেখ হাসিনাকে ভালবাসলে, গণতন্ত্রের ধারাকে বজায় রাখতে হলে কোন ষড়যন্ত্রকারী যেন আশ্রয় না পায় সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

ডাকসুর সাবেক এ জিএস বলেন, আমি শুনেছি, যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের তাদের নাকি অংশগ্রহণ করতে দেয়া যাবে না। কিন্তু তারাও করতে পারে। সাংস্কৃতিক সংগঠনও প্যানেল দিতে পারে। ব্যক্তিগতভাবেও যে কেউ নির্বাচন করতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরের কোন রাজনৈতিক সংগঠন যেন অংশগ্রহণ করতে না পারে।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭৮ সালে যখন ডাকসু নির্বাচন হয়নি তখন আমরা ঘোষণা দিয়ে সামরিক সরকারের দালাল এবং সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিষিদ্ধ করেছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করেনি। তখন পরিবেশ পরিষদে তাদের নেওয়া হয়নি। এখনো সেই ধারা অব্যহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত