ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডাকসু নির্বাচন: মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৪ দফা

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:০৬

ডাকসু নির্বাচন: মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৪ দফা

আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলকে অযোগ্য ঘোষণা করা, হল সংসদে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদ সংযোজনসহ চার দফা দাবিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বরাবর স্মারকলিপি দেবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

রোববার দুপুর পৌনে ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলন করে পরিষদের নেতারা এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। এ সময় সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দীর্ঘ ২৮ বছরের অচলায়তন ভেঙে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ছাত্র সমাজের মধ্যে নির্বাচনী উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোনো শক্তিকে কখনোই ডাকসু নির্বাচনে আসতে দিবে না। ডাকসু নির্বাচনে কোনো ছাত্র সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কাউকে নিয়ে জোটবদ্ধভাবে প্যানেল দিলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মরাও আলাদাভাবে প্যানেল দেয়ার সিদ্ধান্ত নেবে।

ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির এখন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ছাত্রশিবিরকে সাথে নিয়ে সহাবস্থানের নামে মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশ করেছিল ছাত্রদল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ডাকসু নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত করা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষার্থীরা কখনোই ডাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না।

এ সময় পরিষদের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ডাকসু নির্বাচনের আগে তাদের চার দফা দাবি বাস্তবায়নের আহবান জানান। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- ডাকসু নির্বাচনে প্রতিটি হল সংসদে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদ সংযোজন করতে হবে; ছাত্রশিবিরকে নিয়ে সম্প্রতি মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশ করার অপরাধে ছাত্রদলকে ডাকসু নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে; ফেসবুকের ‘কোটা সংস্কার চাই’ পেইজের এডমিন, মডারেটর এবং মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের কটুক্তিকারীদের ছাত্রত্ব বাতিল করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলাকারী, গুজব সৃষ্টিকারী ও উসকানি দাতাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

আল মামুন বলেন, চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আমরা স্মারকলিপি পেশ করব। একই সঙ্গে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালসহ ৬ দফা দাবিতে ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর শাহবাগসহ সারাদেশে একযোগে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত