ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

অধ্যক্ষকে শিক্ষামন্ত্রীর সভায় না রাখায় ছাত্রীদের ভাঙচুর

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:৫৭

অধ্যক্ষকে শিক্ষামন্ত্রীর সভায় না রাখায় ছাত্রীদের ভাঙচুর

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পত্রিকায় অনিয়মের অভিযোগ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে কলেজের এক সভায় তাকে থাকতে না দেওয়ায় ঢাকার সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজে ভাঙচুর ও বিক্ষোভ করেছে ছাত্রীরা।

মঙ্গলবার ওই কলেজে শহীদ মিনার ও ছাত্রী কমনরুম উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পরে কলেজের সেমিনার রুমে সভা শেষে মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর ভাঙচুর ও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে।

অধ্যক্ষ ইফতেখার আলী শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা হয়েও বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে আছেন- এমন অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন জানান, কলেজের শহীদ মিনার ও ছাত্রী কমনরুম উদ্বোধন করতে মঙ্গলবার দুপুরে ওই কলেজে যান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এ সময় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রকাশিত একটি সংবাদের পেপার কাটিং পৌঁছায় মন্ত্রীর কাছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলাম, সেহেতু তার এই মিটিংয়ে না থাকাই ভালো। নিউজের বিষয়টি তদন্ত করবো আমরা।’ এরপর অধ্যক্ষ সভা থেকে বেরিয়ে যান।

পরে অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনে জাতিকে নেতৃত্ব দেবে। তাদেরকে শিক্ষার মাধ্যমে সঠিকভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার সব ধরনের প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশে গত ১০ বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এ ভিতের উপর দাঁড়িয়ে সবাইকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। এর নামের সাথে বিরূপ ও অন্যায় কোন কিছু যাতে যুক্ত না হয়। অন্যায় কিছু হলে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্বচ্ছতার প্রশ্নে কখনও আপোস করা হবে না।’

পরে ‘সভা থেকে অধ্যক্ষকে বের করে দেওয়ার’ ঘটনা কলেজে জানাজানি হলে ছাত্রীরা হইচই শুরু করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে নিরস্ত করা হয়।

এ বিষয়ে কলেজের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর নুরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে। আর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত চলছে। তবে এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রফেসর নুরুল ইসলাম বলেন, ‘তার নিয়োগ বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে এই নিয়োগ শিক্ষা মন্ত্রণালয় করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেয় না। মন্ত্রণালয় ও পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তে তার নিয়োগ দেওয়া হয়।’

শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে প্রফেসর নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গত আঠারো মাস ধরে তিনি (ইফতেখার) এখানে অধ্যক্ষ হিসেবে আছেন। এ সময়ে তিনি ছাত্রী কমনরুম, শহীদ মিনার, ল্যাবরেটরিসহ অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন করেছেন। এজন্য তার প্রতি ছাত্রীদের অনেক আস্থা ও শ্রদ্ধা।’

জানা যায়, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ শিক্ষক ইফতেখার আলী। তিনি লিয়েনে বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তাকে প্রচলিত বিধান অনুযায়ী কলেজে নিয়োগ দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এসব অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত