ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ফের সুপারিশ তালিকা প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ

ফের সুপারিশ তালিকা প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। যেসব প্রার্থী এই নিয়োগ সুপারিশের প্রেক্ষিতে যোগদান করবে না, সেসব শূন্য পদে নিয়োগের দ্বিতীয় চক্রের ২য় ধাপের সুপারিশ তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রার্থীদের যোগদান নিশ্চিত করে অনলাইনে এনটিআরসিএকে জানাতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। আগামী মাসে নিয়োগ সুপারিশে দ্বিতীয় চক্রের তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রার্থীদের করা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আবেদনগুলোর মধ্য থেকেই দ্বিতীয় দফায় নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। কোনো প্রার্থী যদি যোগদান না করে থাকেন তাহলে সেই শূন্যপদে মেধাতালিকায় এগিয়ে থাকা ওই প্রতিষ্ঠানে পরবর্তী আবেদনকারী প্রার্থী সুপারিশ প্রাপ্ত হবেন। দ্বিতীয় দফায় নিয়োগ সুপারিশের তালিকা আগামী মাসে প্রকাশ করার পরিকল্পনায় কাজ করছে এনটিআরসিএ। তবে, কোন প্রকার আইনি জাটিলতা সৃষ্টি হলে তালিকা প্রকাশে একটু দেরি হতে পারে বলে জানিয়েছে সূত্র।

জানা গেছে, ছয় মাসের ডিপ্লোমায় আইসিটি বিষয়ে নিবন্ধনধারীরা সুপারিশ প্রাপ্ত হওয়ায় তাদের নিয়োগে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। গত বছর জারি হওয়া এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে আইসিটি শিক্ষক পদে নিয়োগের যোগ্যতার পরিবর্তন জটিলতা সৃষ্টির কারণ বলে দাবি করছেন এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা।

অপরদিকে সুপারিশ প্রাপ্তদের দাবি নীতিমালা জারি আগে তারা নিবন্ধিত, তাই তাদের নিয়োগ দিতে হবে। এসব সুপারিশ প্রাপ্তদের নিয়োগ থেকে বিরত থাকতে বলেছিল এনটিআরসিএ। সে প্রেক্ষিতে বেসরকারি স্কুলে আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক ও কলেজে আইসিটি প্রভাষক পদে কয়েকশো প্রার্থী যোগদান করতে পারবেন না। এসব পদে দ্বিতীয় চক্রে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।

ইতিমধ্যে কর্মরত থেকেও আবেদন করা অনেক প্রার্থী পছন্দসই প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ না পাওয়ায় যোগদান করবেন না। ননএমপিও পদে সুপারিশ পেয়ে অনেকে যোগদান থেকে বিরত থাকছেন। সেসব শূন্য পদেও নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।

এরই মধ্যে যোগদানে বাধাগ্রস্থ প্রার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের চিঠি পাঠিয়ে সুপারিশ প্রাপ্তদের যোগদান করিয়ে নিতে বলা হয়েছে বলে দাবি এনটিআরসিএর। তবে, এর আগে অভিযোগগুলো যাচাই বাছাই করা হয়েছে এবং কেবলমাত্র যুক্তিসঙ্গত অভিযোগগুলোর জন্যই ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এনটিআরসিএ সূত্র জানায়, যোগদানে বাধার বিষয়ে নীতিমালায় শাস্তির কথা উল্লেখ রয়েছে। সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদান বাধাগ্রস্থ হলে এনটিআরসিএকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান প্রার্থীদের যোগদান করতে না দিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং বোর্ডগুলোতে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ পাঠানো হবে। ইতিমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি বিজ্ঞপ্তি সংযুক্ত করে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের চিঠি পাঠিয়ে সুপারিশ প্রাপ্তদের নিয়োগপত্র দিতে বলা হয়েছে।

তবে, মাদরাসায় কৃষি বিষয়ক সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশ প্রাপ্তদের বিএড সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করার কথা জানা গেলও তাদের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন তথ্য এখনো জানায়নি এনটিআরসিএ সূত্র।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত